Youtube Video SEO Bangla - ইউটিউব ভিডিও এসইও ২০২৪
ইউটিউব বর্তমানে এর এতই জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে যে ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো অচল হয়ে পড়ার মত অবস্থা । বর্তমানে মনে করা হয়ে থাকে যে ইউটিউব হচ্ছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেটি আপনার একটি শিল্প আপনি নিজেই সেখানে কোন পুঁজি বিহীন ভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
আপনি যদি আপনার ভিডিওকে রেংকিং করাতে চান তাহলে অবশ্যই ইউটিউব ভিডিও এসইও করার গুরুত্ব অপরিসীম । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইউটিউব ভিডিও এসইও রেংকিং ফ্যাক্টর গুলি। আপনি যদি একজন ইউটিউব ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়বেন আশা করি আপনার কাজে আসবে ।
আরো পড়ুন - গিয়ার সাইকেল দাম কত | সাইকেলের ছবি ও দাম ২০২৪
হাইব্রিড বাই সাইকেল | সাইকেল দাম বাংলাদেশ ২০২৪
মোটা চাকার সাইকেল দাম বাংলাদেশ ২০২৪
হিরো সাইকেলের ছবি ও দাম বাংলাদেশ ২০২৪
Youtube Video SEO Bangla - ইউটিউব ভিডিও এসইও
আজকে আমি যেই ইউটিউব ভিডিও এসইও ফ্যাক্টর গুলি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আপনারা খুব মনোযোগ সহকারে সেই বিষয় গুলো পড়বেন এবং আপনি আপনার চ্যানেলে এই সকল বিষয় গুলি প্রয়োগ করে দেখবেন যে আসলে সত্যি হয় কিনা ।
1.ভিডিওর টপিক নির্বাচন
একটি ভিডিও তৈরি করার আগে ভালভাবে চিন্তা করুন যে আপনি ঠিক কোন টপিকে ভিডিওটি করতে চাচ্ছেন । আপনি সব সময় চেষ্টা করবেন যে সকল বিষয় ট্রেন্ডিং এ থাকে সেই সকল বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করার জন্য এতে করে যে বিষয়টি হবে আপনার ভিডিওটি ট্রেনিং এ যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে । কারন মানুষ যেই সময় যে বিষয়টি টেনে থাকে এই বিষয়টি প্রচুর পরিমাণে ইউটিউবে সার্চ করে থাকে । আর ট্রেন্ডিং একই বিষয়ে চলে এগুলি আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ফলে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এছাড়াও গুগোল ট্রেন্ডস আপনি ব্যবহার করতে পারেন ।
2.কিওয়ার্ড যুক্ত টাইটেল ব্যবহার করুন
ভিডিও আপলোড এর সময় অবশ্যই টাইটেলে এমন কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন যেটি লিখে মানুষ ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণে সার্চ করে । আপনার টাইটেলটি যদি কিওয়ার্ড যুক্ত হয় তাহলে দেখবেন অন্যর ভিডিওর সাথে আপনার ভিডিও রিকমেন্ডেড হিসেবে শো করবে । আপনি এলোপাথাড়ি টাইটেল ব্যবহার করলে ইউটিউব রিকমেন্ডেড হিসেবে আপনার ভিডিও দেখাবে না এর ফলে আপনার ভিউজ কমে যাবে আর ভিউজ কমে গেলে আপনার ওই ভিডিওর রেংকিং কমে যাবে । তাঁর জন্য আপনি সব সময় আপনার টাইটেলে এমন একটি কিওয়ার্ড রাখুন যেটি লিখে মানুষ প্রতিনিয়ত সার্চ করে তবে সে কী-ওয়ার্ডটি যেন আপনার ভিডিও প্রসঙ্গিক হয়ে থাকে ।
3. ক্লিক এবেল থামনেল তৈরি করুন
আপনার ভিডিওর থামনেল যত সুন্দর হবে ততো বেশী ভিউজ আসার সম্ভাবনা থাকবে । তাই আপনি একটি ভিডিও তৈরি করার সময় যেমন সময় নেন ঠিক তেমনি ভাবে থামনেল তৈরি করার জন্য সময় নেবেন । কারণ একটি ক্লিকেবল থামনেল যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনার ওই ভিডিওটি ট্রেন্ডিং এ যাবার সম্ভাবনা থাকবে । তাই এটি ইউটিউব ভিডিও এসইও বড় একটি রেংকিং ফ্যাক্টর সব সময় চেষ্টা করবেন থামনেল যেন সুন্দর হয়।
4. ভিডিও ডিসক্রিপশন এ আপনার মেইন কি ওয়ার্ড ব্যবহার করুন
ভিডিও ডিসক্রিপশন লেখার সময় অবশ্যই আপনি আপনার মেইন কী-ওয়ার্ডটি ডিসক্রিপশন এর ভেতর রাখবেন এবং ডিসক্রিপশন এর শুরুতেই রাখবেন যাতে ইউটিউবে অ্যালগরিদম রয়েছে সে খুব সহজেই আপনার মেইন কী-ওয়ার্ডটি খুঁজে পায় । আপনি যেই বিষয় আসলে ভিডিও তৈরি করেন সেই বিষয়ের মেইন কী-ওয়ার্ডটি আপনার ভিডিও ডিসক্রিপশন এর মাঝে দিয়ে রাখবেন এতে করে আপনার ভিডিও Rank করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে ।
5. ইউটিউব ভিডিও অফ পেজ এসইও করুন
আপনি যখন কোনো ভিডিও আপলোড করবেন চিন্তা করেন ঠিক তার আগে আপনি ওই ভিডিওর ফাইল নেম করে নিন । আর ফাইল নামটি অবশ্যই আপনার ভিডিওর মেইন যে টাইটেল সে টি লিখে দিন এর পরে আপনি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করুন মোট কথা হল এটিকে বলা হয়ে থাকে অফ পেজ এসইও । ভিডিওর মতই আপনি যেই থামনেল টি তৈরি করেন সেই থামনিল ঠিক একইভাবে আপলোডের পূর্বে সেটিকে ভালোভাবে অফ পেজ এসইও করে নিন অর্থাৎ ইমেজটির ভালোভাবে টাইটেল দিন টাইটেল এর মাঝে মেইন কি ওয়ার্ড রাখুন এবং ওইটা ইমেজে আপনি ডিসক্রিপশন কিওয়ার্ড এবং হ্যাসটেক ব্যবহার করুন । আপনার যদি বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আপনি ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করেন যে কিভাবে অফপেজ এসইও করতে হয় ইউটিউব ভিডিওর জন্য তাহলেই অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন এবং সেখানে দেখতে পাবেন যে কিভাবে আসলে অফ পেজ এসইও করা হয়।
6. হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন
বর্তমানে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করার ফলে ইউটিউব এর ভিডিও রেংক করে থাকে তাই হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করতে ভুলবেন না । প্রত্যেকটি ভিডিও আপলোড এর সময় আপনি অবশ্যই তিনটি করে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করবেন তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না । ব্যবহার করলে আপনি ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন এর আন্ডারে পড়ে যেতে পারেন তাই কোন ধরনের কোনো ঝুঁকি না নিয়ে তিনটি হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করুন । আর হ্যাশট্যাগ গুলি অবশ্যই ডিসক্রিপশন এর মাঝে ব্যবহার করুন।
7. আপনার ভিডিওতে সাবটাইটেল ব্যবহার করুন
আপনি যে ভিডিওটি তৈরি করেন সেই ভিডিওটির সাবটাইটেল তৈরি করে দিন এতে করে আপনার ভিডিওর বেশি হবে । ধরুন আপনি ভিডিয়ো তৈরি করলেন বাংলায় কিন্তু সেটির যদি আপনি ইংরেজিতে সাবটাইটেল করে দেন তাহলে দেখবেন বিদেশি ভিউয়ার আপনার ওই ভিডিওটি দেখে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন যার ফলে আপনার ওই ভিডিওর ভিউজ দিন দিন বাড়তেই থাকবে ।
8. অডিওর প্রতি বেশি জোর দিন
আপনি যখন একটি ভিডিও তৈরি করেন তখন অবশ্যই আপনার সেই ভিডিওর অডিও কোয়ালিটি যেন খুব ভালো হয় । আপনার অডিও কোয়ালিটি যত ভালো হবে আপনার ওই ভিডিও দেখতে ভিউয়ার ততো বেশি আগ্রহী হবে । আর আপনার ভিডিওর অডিও কোয়ালিটি যদি খারাপ হয় তাহলে দেখবেন যে ভিউয়ার আপনার সেই ভিডিওটি আর দেখতে চাইবে না । তার জন্য সব সময় আপনি আপনার ভিডিওর কোয়ালিটি থেকেও অডিও কোয়ালিটি এর দিকে নজর দিন।
9. ভিডিওর প্লেলিস্ট তৈরি করুন
আপনি যখনই আপনার চ্যানেলের নতুন কোন ভিডিও আপলোড দিবেন ওই ভিডিওর একটি প্লেলিস্ট তৈরি করার চেষ্টা করুন। যখনই আপনি একই ধরনের ভিডিও বেশ কয়েকটি করে আপনার চ্যানেলে আপলোড করবেন তখন যদি আপনি একটি প্লেলিস্ট তৈরি করে থাকেন একজন ভ্য়িউয়ার কিন্তু খুব সহজেই আপনার ওই প্লেলিস্ট দেখে সে কিন্তু খুব সহজে তার প্রয়োজনীয় ভিডিও একের পর এক দেখতে পারবে এতে করে আপনার প্রতিটি ভিডিওর ভিউজ বেশি হবার সম্ভাবনা থাকবে।
এছাড়াও একই ধরনের ভিডিও যখন আপনি আপনার চ্যানেলে আপলোড করবেন ওই কিওয়ার্ড লিখে মানুষ যখন সার্চ করবে তখন কিন্তু ইউটিউব আপনার ভিডিও দ্রুতভাবে সামনে এসে হাজির করাবে । কারণ হলো আপনার প্রতিটা ভিডিও তে ওই ধরনের কি রয়েছে তার জন্য অবশ্যই আপনি প্রতিটি ভিডিও আপলোডের সময় পেলে লিস্টে দেবার চেষ্টা করবেন যেটা যে ধরনের ভিডিও এ ধরনের ভিডিও একটি প্লেলিস্ট তৈরি করবেন ।
10. সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন
আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার বিকল্প আসলে আর কিছু নেই আপনি যখনই নতুন কোন ভিডিও আপলোড করবেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে সেটি খুব দ্রুত ভাবে শেয়ার করুন । তার কারণ হলো আপনি যখনই সোশ্যাল মিডিয়া আপনার ভিডিও শেয়ার করবেন সেখান থেকে বেশকিছু ভিজিটর যখন আপনার সেই ভিডিওটি ভিজিট করবে অর্থাৎ দেখবে দেখার পর কিন্তু গড়ে এসে একটা ওয়াচ টাইম দাঁড়াবে ।
আর আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে ওয়াচ টাইম এর উপর ভিডিও Rank করে আপনার ভিডিওর টাইম যত ভালো হবে ওই ভিডিও ততবেশি রেংক করার সম্ভাবনা থাকবে।তাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে ভুল করবেন না ।
11. ওয়েবসাইটে শেয়ার
আপনার যদি পার্সোনাল কোন ওয়েবসাইট থাকে ওই ওয়েবসাইট এ আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিও শেয়ার করুন । এতে করে ওয়েবসাইটের যেই সকল ভিজিটর গুলি থাকবে তারা আপনার ওই ভিডিওটি দেখবে এতে করে আপনার ভিডিওর কিন্তু ভিউজ দিন দিন বাড়তেই থাকবে তাই ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।
12. এসইও টুল ব্যবহার করুন
ইউটিউব ভিডিও এসইও করার জন্য আপনারা অবশ্যই এসইও টুল ব্যবহার করবেন । এসইও টুল ব্যবহার করার ফলে আপনি কিন্তু খুব সহজেই অন্যের ভিডিওকে এনালাইজ করতে পারবেন এবং আপনার নিজের ভিডিও খুব সুন্দরভাবে এনালাইজ করে আপনি ভিডিও আপলোড দিতে পারবেন ।আপনার সঠিক ভিডিও এসইও করার ফলে আপনার ভিডিওটি রেংক করার সম্ভাবনা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাবে তাই ফ্রী এসইও টুল গুলি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন ।
আপনার ভিডিও কে সঠিকভাবে অপটিমাইজ করার জন্য আপনি টিউব বার্থডে অথবা বিট আইকিউ এই দুটি টুল এর যেকোনো একটি টুল ব্যবহার করতে পারেন ।
13. এন্ড স্কিন এর ব্যবহার
প্রতিটি ভিডিও আপলোড এর সময় অবশ্যই এন্ড স্কিন ব্যবহার করুন । এন্ড স্ক্রিন এর ফলে আপনার ভিউয়ার যদি আপনার ভিডিওটি দেখে তার কাঙ্খিত ফলাফল পেয়ে থাকে তাহলে দেখবেন যে সে আপনার আরও একটি ভিডিও দেখতে চাইবে আর যখনই এন্ড স্কিন ব্যবহার করবেন সে কিন্তু অনায়াসে আপনার অন্য একটি ভিডিও দেখতে পারবে । তাই সব সময় আপনি এন্ড স্কিন ব্যবহার করবেন।
14. ভিডিওতে লাইক এর পরিমান বেশি নেওয়া
এমনভাবে ভিডিও তৈরি করবেন যেন ভিডিওতে ডিজলাইক এর পরিমাণ কম হয় আপনার ভিডিওতে লাইক এর পরিমাণ যত বেশি থাকে। আপনার ভিডিওটি যত বেশি লাইক হবে ততবেশি ইউটিউব রিকমেন্ডেড করাবে যার ফলে আপনার ভিউজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে । আর যখনই আপনার ভিডিওতে ডিজলাইক এর পরিমাণ বেশি হয়ে যাবে আপনার ভিডিওটি ধীরে ধীরে রিকমেন্ডেড করা বন্ধ করে দিবে । তাই সব সময় চেষ্টা করুন ভিডিওতে লাইক বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনে আপনি ভিডিওর মাঝে বলে দিন যেন ভিউয়াররা আপনার ভিডিওতে লাইক দেয়।
সর্বশেষ কথা হল আপনার ইউটিউব ভিডিও এসইও যদি সঠিকভাবে করতে হয় তাহলে আপনাকে সকাল থেকেই ভালভাবে নজর দিতে হবে । আপনি একটি করলেন অপরটি করলেন না তাহলে আপনার ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজ পরিপূর্ণ হলো না তাই সকল বিষয়ের প্রতি নজর দিন এবং ভালোভাবে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করুন তাহলেই দেখবেন আপনি সফল হতে পারবেন ।
themes name ki