ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়:- আমরা আজকের পোস্টে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আপনি যদি জানতে চান কিভাবে ফেসবুক হতে টাকা আয় কিভাবে করা যায়, তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। তাহলে আশা করি, আপনি ফেসবুক থেকে প্রতি মাসে কিছু টাকা আয় করতে পারবেন।
বর্তমান যুগে ফেসবুক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফেসবুক সম্পর্কে জানেনা এমন লোক পাওয়া যাবে না। কারণ এখন ছোট বড় সবাই ফেসবুক চালায়। এখন ফেসবুক থেকে আয় করা যায় এমন কয়েকটি মাধ্যম আমি তুলে ধরবো।
আমরা অযথা সময় নষ্ট করে অনলাইনে সময় দেই। সময় নষ্ট না করে আমরা এখন ফেসবুক থেকে কিভাবে আয় করতে পারবো সে ব্যাপারে আলোচনা করব। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এটি জানতে পারবেন।
আরো পড়ুন - গাজী ২ ঘোড়া পাম্পের দাম কত
ওয়ালটন ফ্রিজ 10 সেফটি দাম কত
টেলিটক নাম্বারে টাকা চেক
সুপার স্টার এলইডি লাইট দাম
ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
সময়ের সাথে সাথে মানুষ আধুনিক হয়েছে। নিত্য-নতুন ভাবে মানুষ নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছে। প্রযুক্তির ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ, সরল, সাবলীল করে তুলেছে। প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে মানুষের যেমন কাজের গতি বেড়েছে। বর্তমানে মানুষের কাজের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে।
আমরা প্রায় অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করে থাকি। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ ফেসবুকে দেখে, কেউ ইউটিউব দেখে, কেউ নিউজ দেখে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের খবরা খবর জানার জন্য ব্যবহার করে থাকেন। তাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য কিছু পদ্ধতি দিয়ে দিয়েছে।
বর্তমানে মানুষ দিনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত করে থাকে ফেসবুকের মাধ্যমে। ফেসবুক আমাদেরকে একটি পরিবার হিসেবে গড়ে তুলেছে। ঘরে বসে যেকোনো স্থানের মানুষের সাথে মুহূর্তের মধ্যে কথা বিনিময় করা যায়। কল করা যায় ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সাথে কথা বলে তথ্য আদান প্রদান করা যায় ফেসবুকের মাধ্যমে। বাকি সকল সামাজিক মাধ্যমগুলো থেকে ব্যবহারের দিক থেকে ফেসবুক খানিকটা এগিয়ে আছে। ফেসবুক থেকে আয় করা যায় এমন কয়েকটি পদ্ধতি আমি নিচে তুলে ধরছি।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয়
প্রথমে আমরা জানবো আমার ফেসবুকের মার্কেটপ্লেস থেকে কিভাবে আয় করতে পারি। ফেসবুকের মাধ্যমে আপনারা মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন প্রডাক্ট লিস্ট তৈরি করে আপনারা ক্রেতা বাড়িয়ে লাভজনক হতে পারেন। ঘরে বসেই নিজের মোবাইলে ফেসবুক এ অযথা সময় নষ্ট না করে মার্কেটপ্লেস থেকে আপনারা আয় করতে পারেন।
ফেসবুকে মার্কেটপ্লেসে পোস্ট করার জন্য আপনার নিজস্ব ফেসবুক আইডি লাগবে। ফেসবুক আইডি থেকে মার্কেটপ্লেসে আপনার প্রোডাক্ট লিস্ট জমা করতে পারবেন। আপনি যদি কিছু বিক্রি করতে চান, তাহলে ঘরে বসেই মার্কেট প্লেসের দ্বারা সেই জিনিষটির বিজ্ঞাপন হাজার হাজার লোকেদের দেখিয়ে দিতে পারবেন। যদি কেউ আপনার পণ্য কিনে নিতে চান, তাহলে সে আপনাকে সরাসরি ফেসবুক এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবে।
ফেসবুকে মার্কেটপ্লেসে এমন একটি মাধ্যম যেখানে নতুন পুরাতন বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর বিবরণ, দাম সহ তুলে ধরলে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
সেখান থেকে আপনার যদি নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট থাকলে সেটি মার্কেটপ্লেসে তুলে ধরলে পণ্য সম্পর্কে সবাই জানবে এবং আপনার প্রোডাক্ট টি নিতে আগ্রহী হবে। এক্ষেত্রে আপনারা মার্কেটপ্লেস থেকে ক্রেকা বাড়িয়ে আপনাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
আমরা বলতে পারি ফেসবুকে মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা অতি সহজ। তবে মনে রাখতে হবে, অনলাইনে আয় করার মূল মন্ত্র হলো কম দাম এবং চাহিদা। পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী আপনারা যদি মার্কেটপ্লেসে ডিটেলস সহ লিস্ট তৈরী করেন তাহলে, আপনি অনলাইনে অতি সহজেই ফেসবুকে মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক একাউন্ট খুলে আয়
ফেসবুকে একাউন্ট খুলে আয় করা যায়। তবে আমরা সচরাচর যে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করি এই ইউজার আইডি দিয়ে ফেসবুক আয় করা যাবে না। কারণ ফেসবুক একটি ইউজার একাউন্ট থেকে সরাসরি টাকা ইনকাম করার কোন উপায় রাখেনি।
আপনার যদি কোন ধরনের ব্যক্তিগত ব্লগ থাকে তাহলে আপনার আইডিতে সেই ব্লগের পোস্টগুলো ফেসবুক একাউন্টে শেয়ার করে ফেসবুক হতে আপনার ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধি করে ব্লগের আয় বাড়িয়ে নিতে পারবেন। আমরা জানি ফেসবুকে পাঁচ হাজারের বেশি ফ্রেন্ড যুক্ত করা যায় না। সে ক্ষেত্রে আমরা ব্লগের পোস্ট গুলো ফেসবুকে আপলোড করে ব্লগের ভিজিটর বাড়িয়ে নিজেদের আয় বাড়াতে পারি।
আমরা অযথা ফেসবুকে অনেক সময় নষ্ট করি। সে ক্ষেত্রে ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে আমরা যদি ব্লগের পোস্ট গুলো ফেসবুকে আপলোড দিয়ে ব্লগের ভিজিটর বাড়িয়ে নিই তাহলে, ব্লগ থেকে আমাদের আয় বারবে। এভাবে আমরা ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে আয় করতে পারি।
ফেসবুক পেইজ থেকে টাকা আয় করা যায়
আমরা এখন জানবো ফেসবুকের পেইজ থেকে কিভাবে আয় করা যায়। ফেসবুক একাউন্ট দিয়ে ফেসবুক পেইজ খুলে আপনারা অনলাইনে আয় করতে পারেন। ফেসবুক প্রোফাইলে যেমন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো যায়, রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করা যায়, পেইজে এমন কিছু হয় না। পেইজে যে কেউ লাইক দিতে পারবে ফলোয়ার করতে পারবে এবং আপনার নিজের নামে পেইজ খুলে সেই পেইজের লাইক ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন।
আপনার একটি ফেসবুক পেইজ থাকলে এবং সেটিতে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার বা লাইক থাকলে আপনার ফেসবুক পেইজকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুক হতে সহজে টাকা আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক পেইজ থেকে আয় করার জন্য ফেসবুকের পেইজে আপনার নিয়মিত পোস্ট পাবলিশ করতে হবে এবং পেইজে সময় দিতে হবে। পেইজ তৈরি করে আপনারা কিছু না করে ইনকাম করতে পারবেন না তাই এর পিছনে প্রতিদিন কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। তাহলে আপনারা ইনকাম করতে টাকা আয় করতে পারবেন।
আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে পেইজে ফলোয়ার এবং লাইক বাড়িয়ে নিতে হবে। ফেসবুকে যেকোন কাজের মাধ্যমে যখন আপনি ফেসবুক পেজের লাইক বাড়িয়ে নিবেন। তখন ফেসবুক থেকে আয়ের পথ আপনার জন্য অনেক সহজ হবে।
ফেসবুক পেইজ খোলার পর আপনার প্রথম কাজ হবে ফেসবুকের লাইক এবং ফলোয়ার বাড়ানো। তবে ফেসবুকের লাইক এবং ফলোয়ার এমনি বারবে না তাই এর পিছনে আপনাকে সময় ব্যয় করতে হবে। আপনি যদি পেইজের লাইক ফলোয়ার বাড়িয়ে নিতে পারেন তাহলে আয় করার পদ্ধতি গুলো অতি সহজেই খুঁজে নিতে পারবেন।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়
এখন আপনাদের সাথে আরেকটি পদ্ধতি আলোচনা করব সেটি হল ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়। বর্তমানে ইউটিউব এর মত ভিডিও আপলোড করে ফেসবুকেও টাকা আয় করা সম্ভব। তবে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করার জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এই পদ্ধতি গুলো মেনে চললে আপনার ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারবেন।
ফেসবুকে আয় করার এই নতুন পদ্ধতিকে বলা হয় "ফেসবুক ভিডিও নগদীকরণ বা ইন-স্ট্রীম বিজ্ঞাপন। এইইন-স্ট্রীম বিজ্ঞাপন বা ভিডিও নগদীকরণ এর কিছু নিয়ম বা যোগ্যতা রয়েছে, যেগুলো ফিলআপ হলে ফেসবুক পেইজ এ ভিডিও আপলোড করে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়।
ফেসবুক ভিডিও নগদীকরণ কি
ফেসুবক ভিডিও নগদীকরণ হলো এমন একটি সার্ভিস যেটি দিয়ে ফেসবুক পেইজ এ আপলোড করা ভিডিওতে বিজ্ঞাপন শো করানো যায়। এই বিজ্ঞাপন গুলো যখন লোকজন দেখবে বা ক্লিক করবে তখন আপনি ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে ফেসুবকভিডিও নগদীকরণ এর বিজ্ঞাপন ফেসবুক পেজ ব্যাতীত অন্য কোথায় ব্যবহার করতে পারবেন না।
ফেসবুক ভিডিও নগদীকরণ সার্ভিস ব্যবহার করার জন্য আপনার ফেসবুক পেইজ এর কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। আপনার ফেসবুকে পেজে নিচের যোগ্যতা গুলো না থাকলে ভিডিওতে ভিডিও নগদীকরণ ব্যবহার করতে পারবেন না।
ফেসবুক নগদীকরণ পাওয়ার জন্য যা লাগবে
ফেসবুক নগদীকরণ করার জন্য যা যা লাগবে সে বিষয়গুলো আলোচনা করব। ফেসবুকে নগদীকরণ করার জন্য এইগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো :
১. আপনার নিজের একটি ফেসবুক পেজ থাকতে হবে। ফেসুবক পেজ ছাড়া অন্য কোথায় নগদীকরণ এর বিজ্ঞাপন ভিডিওতে লাগানো যায় না।
২. ফেসবুক এর অংশীদার নগদীকরণ নীতি মেনে ভিডিও তৈরি করতে হবে।
৩. আপনার ভিডিও এর ভাষা ফেসবুক নগদীকরণ সাপোর্ট করে না, এমন ভিডিও আপলোড করলে ভিডিও মনিটাইজ হবে না। তবে টেনশনের কোন কারণ নেই, ফেসবুক নগদীকরণ বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে।
৪. আপনার বয়স অবশ্যই কপক্ষে ১৮ হতে হবে।
৫. গত ৬০ দিনে আপনার ফেসবুক পেজের ভিডিওতে মিনিমাম ৩০,০০০ ভিউস থাকতে হবে এবং প্রত্যেকটি ভিউ মিনিমাম ১ মিনিটের হতে হবে। তাছাড়া আপনার প্রত্যেকটি ভিডিও কমপক্ষে ৩ মিনিট লম্বা হতে হবে। কারণ ৩ মিনিটের ছোট ভিডিওতে ফেসবুক বিজ্ঞাপন শো করে না।
৬. আপনার ফেসবুক পেজে ১০,০০০ লাইক থাকতে হবে।
কিভাবে ফেসবুক পেজের লাইক বাড়াবেন
পেইজে লাইক ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এই পদ্ধতি অনুযায়ী যদি আপনারা কাজ করেন তাহলে, আপনাদের ফেসবুক পেজে লাইক ফলোয়ার আশা করি বেরে যাবে। নিচে কিভাবে পেইজে লাইক ফলোয়ার বাড়াবেন সেই পদ্ধতি গুলো আলোচনা করে দিচ্ছি।
১. টপিক নির্ধারণ : টপিক নির্ধারণ বলতে আপনি যে বিষয় নিয়ে ফেসবুকে কাজ করবেন সেই বিষয়গুলো বুঝানো হয়েছে। আপনি যে কোন বিষয় নিয়ে ফেসবুকে কাজ করতে পারেন তবে, যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন সে বিষয়টি প্রথমে তুলে ধরতে হবে।
যে বিষয় নিয়ে আপনি বেশি ভালো বোঝেন জানেন সে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাদের লাইক ফলোয়ার বাড়বে। আমরা ফেসবুকে গেলে দেখতে পাই যারা ফানি টপিক নিয়ে লেখে তাদের অনেকলাইক ফলোয়ার থাকে। আপনারা চাইলে এ বিষয়টি দেখে যেকোনোফানি টপিক নিয়ে লিখতে পারেন। তাহলে তাদের মত আপনাদের লাইক ফলোয়ার বাড়বে।
যেমন: কবিতা, উপন্যাস, গল্প, ফ্যাশন, টেকনোলজি, লাইফস্টাইল ইত্যাদি বিষয়ে লেখালেখি করলে সহজে জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়। তাছাড়া আপনি একজন গৃহিনী হয়ে থাকলে বিভিন্ন রিসিপি তৈরি, ফ্যাশন ও ডিজাইন বিষয়ে লেখালেখি করে কিংবা ভিডিও তৈরি করে ফেসবুক পেজের লাইক বৃদ্ধি করে নিতে পারেন।
২. ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা : যারা আপনার ফেসবুকের ফলোয়ার থাকবে তাদের সাথে ভালো ভাবে কথা বলতে হবে। ভাব না নিয়ে তাদের সাথে হাই হ্যালো সম্পর্ক বজায় রেখে তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।
তারা আপনার পোস্টে কোন ধরনের কমেন্ট করলে সেটির জবাব দিন। কমেন্টে কোন কিছু লেখার না থাকলেও ধন্যবাদ কিংবা ওয়েলকাম জানাবেন। এছাড়াও যারা আপনাকে পার্সন্যালি ফেসবুকে ম্যাসেজ করবে তাদের সাথে ভালো ভাবে কথা বলতে হবে। তাহলে আপনার পেইজের লাইক ফলোয়ার খুব অল্প সময়ে বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
৩. পেইজে নিয়মিত পোস্ট পাবলিশ করা : আপনি যদি শুধুমাত্র ইচ্ছে মতো মাঝে মধ্যে পোস্ট শেয়ার করেন, তাহলে আপনি অল্পদিনে ফ্যান ফলোয়ার বৃদ্ধি করতে পারবেন না। কারণ যারা আপনার পাঠক হবে তারা অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত দেখতে চাইবে।
এ ক্ষেত্রে আপনি মাঝে মধ্যে পোস্ট করলে সেই পোস্টগুলো পাঠক এড়িয়ে চলবে। সে জন্য দ্রুত ফেসবুক পেজের লাইক বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত পোস্ট করে যেতে হবে। যদি নিয়মিত পেইজে পোস্ট করেন তাহলে পাঠকরা আপনার পোস্ট নিয়মিত দেখবে। এবং লাইক ফলোয়ার বাড়াতে থাকবে।
তাই আপনাকে লাইক ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য নিয়মিত পেইজে পোস্ট করতে হবে এবং পোষ্টের যদি কেউ কমেন্ট করে তাহলে তার রিপ্লাই দিতে হবে। তাই বলা যায় পেইজে নিয়মিত পোস্ট করাও পেইজের লাইক ফলোয়ার বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
৪. বিভিন্ন ফেসবুক গুরুপে জয়েন করুন : বর্তমানে ফেসবুকে হাজার হাজার গুরুপ রয়েছে যেগুলোর অনেক জনপ্রিয়তা আছে । আপনারা সেই গুরুপে জয়েন হবেন। জয়েন হওয়ার পর সেখানে মাঝে মাঝে আপনার লেখার কিছু পোস্ট করবেন এবং নিচে আপনার পেজের লিংক শেয়ার করবেন।
শেয়ার করার পর সেখানে অনুরোধ করে বলবেন আপনার পেইজে লাইক ফলোয়ার করার জন্য। এভাবে আপনারা আপনাদের পেইজ এ লাইক ফলোয়ার বাড়িয়ে নিতে পারবেন এক্ষেত্রে গুরুপে জয়েন হয়ে পোস্ট করা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
আপনারা যদি নিয়মিতভাবে উপরের এই পদ্ধতিগুলো মেনে চলেন তাহলে, আপনাদের পেইজ এ খুব তাড়াতাড়ি লাইক ফলোয়ার বৃদ্ধি পাবে।
স্পন্সর এর মাধ্যমে ফেসবুকে থেকে টাকা আয় করা যায়
আপনার যখন অনেক ফলোয়ারের ভালো একটা ফেসবুক পেজ থাকবে তখন দেখবেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আপনাকে স্পন্সর এর জন্য বলবে। যে তাদের পণ্য আপনি আপনার পেজে ভিডিও তৈরি করে আপনি দেখাবেন অথবা আপনি তাদের একটি ছবি আপনার পেজে আপলোড করবেন এর জন্যে তারা আপনাকে টাকা দিবে । আর এভাবেই বিভিন্ন কোম্পানি স্পন্সর এর জন্য বলে যখন আপনার পেজে অনেক ফলোয়ার থাকে এবং আপনার পেজের রিচ অনেক ভালো থাকে । আর এভাবেই স্পন্সর এর মাধ্যমে আপনি ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এই পোস্টে আমি সেই বিষয়টি তুলে ধরেছি । আশা করি একটু হলেও এই পোষ্টটি আপনার উপকারে আসবে। প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য জানার জন্য
আজকের আইটি এই ব্লগটির সাথেই থাকুন।