কানাডা যাওয়ার খরচ কত | কানাডা ভিসার দাম কত
কানাডা যেতে কত টাকা লাগে - আজ আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব কানাডা যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয়টি নিয়ে ।
তবে কানাডা যেতে বিভিন্ন রকম প্রসেস এবং নিয়ম ফলো করতে হয় এবং বিভিন্ন রকম ভিসা আছে যেমন স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, এবং পার্মানেন্ট ভিসা, বিভিন্ন রকম ভিসা কানাডা তে যাওয়ার জন্য লাগে । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন ।
নিচে আমি step-by-step প্রত্যেকটি ভিসার ডিটেইলস জানিয়ে দিচ্ছি, এবং কানাডা যেতে কোন ভিসা কত টাকা লাগে সে বিষয়টি আমি দেখিয়ে দিচ্ছি আপনারা আর্টিকেলটি সম্পুর্ন পড়তে থাকুন ।
আরো পড়ুন - ওয়ালটন ফ্রিজ ১০ সেফটি দাম কত ২০২৪
সিঙ্গার ফ্রিজ ১২ সেফটি মূল্য তালিকা
আর এফ এল গ্যাসের চুলার দাম বাংলাদেশ
ভিশন ফ্রিজ ১২ সেফটি দাম কত ২০২৪
ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
কানাডা ভিসা খরচ ২০২৪
- ভিসা আবেদন ফি: CAD $150
- মেডিকেল পরীক্ষা ফি: CAD $250-CAD $300
- বায়োমেট্রিক ফি: CAD $85
- ভিসা আবেদন ফি: CAD $155
- এলএমআইএ ফি: CAD $1000 (কোম্পানি বহন করে)
- মেডিকেল পরীক্ষা ফি: CAD $250-CAD $300
- বায়োমেট্রিক ফি: CAD $85
- 18 বছর এবং তার বেশি বয়সী আবেদনকারীদের জন্য: CAD $150
- 18 বছরের কম বয়সী আবেদনকারীদের জন্য: CAD $75
- 18 বছর এবং তার বেশি বয়সী আবেদনকারীদের জন্য: CAD $85
- 18 বছরের কম বয়সী আবেদনকারীদের জন্য: CAD $25
- ভিসা আবেদন ফর্ম: বিনামূল্যে
- ভিসা আবেদন সহায়তা: CAD $100-CAD $500
- মেডিকেল পরীক্ষা: CAD $200-CAD $500
- বায়োমেট্রিক: CAD $25-CAD $50
- ভ্রমণ বীমা: CAD $100-CAD $500
- আবাসন: CAD $500-CAD $1000/মাস
- খাদ্য: CAD $200-CAD $500/মাস
- পরিবহন: CAD $100-CAD $200/মাস
কানাডা যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে কানাডাতে আমরা বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন রকম কাজের জন্য যায় । এবং প্রত্যেক কাজের জন্য প্রত্যেক রকমের ভিসা পাস করাতে হয় । যেমন স্টুডেন্ট ভিসার জন্য সর্বনিম্ন .৫ লাখ টাকা । কৃষি ভিসার জন্য ৫ লাখ টাকা । ওয়ার্ক ভিসার জন্য ৭ লাখ টাকা । এবং আরো অন্যান্য ভিসা আছে তবে আপনাদের সুবিধার্থে নিচে আমি প্রত্যেকটি ভিসা সম্পর্কে পরপর ডিটেলস জানিয়ে দিচ্ছি ।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে কানাড়া নিত্য নতুন প্রযুক্তি ও টেকনিশিয়ান কাজের জন্য দিনকে দিন এগিয়ে চলেছে । তাই আমাদের বাংলাদেশ কিংবা ইন্ডিয়ার বিভিন্ন স্টুডেন্ট কানাডাতে পড়াশোনার জন্য যায় । তাইআর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব কানাডা যেতে একজন স্টুডেন্টের কত টাকা খরচ হয় । এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাদেরকে বলি একজন স্টুডেন্টের কানাডা যেতে সর্বনিম্ন পাঁচ লাখ টাকা লাগবে ।
কাডানা স্টাডি ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন পত্রের নিয়ম
বর্তমানে কানাডাতে স্টুডেন্ট ভিসায় বলে কোন ভিসা হয় না । যেটাকে আমরা স্টুডেন্ট ভিসায় বলি সেটা হচ্ছে স্টাডি ভিসা । স্টাডি ভিসা আপনি এরকম ভাবে করতে পারেন যদি আপনি চার বছর পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনাকে স্টাডি ভিসার জন্য এপ্লাই করতে হবে । এবং যদি আপনি ৬ মাস কিংবা ৪ মাসের জন্য স্টাডি করতে চান তাহলে কানাডাতে যদি আপনার কোন আত্মীয় থেকে থাকে তাহলে আপনাকে স্টাডি ভিসা করতে হবে না । আপনি সরাসরি আত্মীয়র বাড়ি থেকে স্টাডি করতে পারবেন । এখন চলুন স্টুডেন্ট ভিসা বা স্টাডি ভিসার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক ।
আপনি অনলাইনের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসা বা স্টাডি ভিসা আবেদন করার মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে আপনার কাছে একটি চিঠি এবং ইমেইলে কিছু ইনফরমেশন দেয়া হবে । যে, আপনার জন্য বায়োমেট্রিক ইনফরমেশনের দরকার পড়বে কিনা। যদি দরকার পড়ে, তবে উপরে বর্ণিত নির্দেশনার মাধ্যমে বায়োমট্রিক ইনফরমেশন পাঠিয়ে দেবেন।
এরপর আপনার ডকুমেন্টস গুলো ভালো করে ভেরিফাই করা হবে । এবং আপনার ডকুমেন্টস যদি কোনো রকম ভুল থাকে সেই ভুল আপনাকে দেখিয়ে দেয়া হবে ।
তারপর আপনাকে একটি কনফার্মেশন লেটার পাঠাবে এই কনফার্মেশন লেটার এ কানাডা পৌঁছানোর জন্য ইমিগ্রেশন অফিসে দেখা করতে হবে । আর যদি তারা আপনাকে আবেদন ফরম গ্রহণ না করে তবে তারা আপনাকে ইমেইলে কিম্বা চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে ।
কানাড়ার টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
স্টুডেন্ট ভিসা বা স্টাডি ভিসা পাবার পর আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এবং টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসার আবেদন পত্রের জন্য যা যা ডকুমেন্টস লাগবে নিচে আমি পরপর দেখিয়ে দিচ্ছি ।
১. নির্ভুলভাবে পূরণকৃত আবেদন পত্র।
২. ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত অফার লেটারের মূল কপি।
৩. চারটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৫. আপনার কোর্সের সময়সীমার চেয়ে একমাস বেশি মেয়াদের পাসপোর্ট।
৬. আপনার সকল জাতীয় কাগজপত্র, যেমন: জন্মনিবন্ধন, জাতীয়তা পরিচয়পত্র ইত্যাদি।
৭. আপনার সব ধরনের একাডেমিক কাগজপত্র।
৮ আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মোটামুটি ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা ট্রানজেকশন দেখাতে হবে এবং ব্যাংকে মিনিমাম ৫ লাখ টাকা রাখতে হবে ।
৯. স্পন্সরের প্রমানসহ বিস্তারিত তথ্য।
১০. স্টাডি পারমিট ফি দেওয়া হয়েছে- তার প্রমাণপত্র।
১১. ভিসা এনরোলমেন্টের ইলেকট্রনিক কনফার্মেশনের স্ক্যান কপি।
১২. এছাড়াও খরচ করার জন্য উপযুক্ত টাকাপয়সা নিয়ে যেতে হবে ।
উপরের দেখানো ডকুমেন্ট বা কাগজপত্রগুলো যদি আপনার ঠিক থাকে, তাহলে এক মাসের মধ্যে কানাডা স্টাডি ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসা খুব দ্রুত আপনি পেয়ে যাবেন ।
কানাডার ভিসা পাওয়ার জন্য কোন কোন ডকুমেন্টস ও যোগ্যতা লাগবে
১. আপনাকে অবশ্যই কমপক্ষে HSC বা গ্র্যাজুয়েট পাশ হতে হবে।
২. আপনার মোটামুটি ইংলিশ বলার বা বোঝার দক্ষতা থাকতে হবে । তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আইএলটিএস স্কোর (IELTS 4.0) থাকতে হবে।
৩.আপনার যেকোনো কাজের ওপর এক বছরের অবশ্যই দক্ষতা থাকতে হবে ।
৪. আপনার ব্যাংক একাউন্টে মোটামুটি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা লেনদেনের একটি স্টেটমেন্ট অবশ্যই থাকতে হবে ।
৫. আপনার কাছে আপনার যাবতীয় ডকুমেন্টস যেমন পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড, জন্ম নিবন্ধন কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট, এটিএম কার্ড, চেক বুক, স্কুল সার্টিফিকেট, স্কুল ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট, স্কুল পাস সার্টিফিকেট,সমস্ত ডকুমেন্টস থাকতে হবে ।
৬. আপনার প্রত্যেকটি ডকুমেন্টসের ইনফরমেশন গুলো সঠিক থাকতে হবে ।
কানাডা যেতে জব ভিসার কত টাকা লাগে
একজন সাধারন মানুষ যদি কানাডায় জব ভিসার জন্য এপ্লাই করে, তাহলে সেই ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্টে মোটামুটি ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকা ট্রানজেকশন থাকতে হবে এবং ৭ লাখ টাকা খরচ হবে ।
কানাডায় জব ভিসা জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগে এবং যোগ্যতা লাগে
১. কমপক্ষে HSC বা সমমানের পাস থাকতে হবে।
২. আপনার মোটামুটি ইংলিশ বলার বা বোঝার দক্ষতা থাকতে হবে । তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আইএলটিএস স্কোর (IELTS 4.0) থাকতে হবে।
৩.আপনার যেকোনো কাজের ওপর এক বছরের অবশ্যই দক্ষতা থাকতে হবে ।
৪. আপনার ব্যাংক একাউন্টে মোটামুটি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা লেনদেনের একটি স্টেটমেন্ট অবশ্যই থাকতে হবে ।
আগে মিলিয়ে দেখুন উপরের দেওয়া যোগ্যতা গুলি আপনার আছে কিনা? থাকলে বেশ ভালো । আপনি আজ হোক বা কাল হোক যেকোনো সময় কানাডা যেতে পারবেন । আর যদি উপরের দেয়া ডকুমেন্টস গুলির মধ্যে একটির ঘাটতি থাকে তাহলে দয়া করে আপনি ভিসার আশা ছেড়ে দিন ।
কানাডার ভিসা পাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি একজন স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী ভাবে কানাডায় বসবাসের জন্য ভিসা এপ্লাই করেন,তাহলে আপনাকে অবশ্যই উপরের দেওয়া ডকুমেন্টগুলো কাছে রাখতে হবে । এবং আপনার কাজের এক্সপিরিয়েন্স ও আপনাকে একজন যোগ্য পাত্র হয়ে উঠতে হবে । তাহলে কানাডা সরকার আপনাকে খুব সহজে ভিসা অ্যাপ্রভাল করে দেবে ।
আর যদি আপনি এগুলা না মানতে পারেন তাহলে তাহলে আপনি কানাডার ভিসার কাথা বাদ দেন অন্য কোন দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিন।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়া সহ বিদেশ ভ্রমণ বা কাজের উদ্দেশ্যে তাদের প্রথম চয়েজ হয়ে থাকে কানাডা। কানাডা জব ভিসা ২০২৪ আগের থেকে অনেক সহজ করেছে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ট্রডো । কানাডা জব ভিসা ২০২৪ এর জব কার্ড এবং জব অফার কানাডা ওয়ার্ক পারমিট তুলনামূলক অনেক সহজ হয়েছে বলা যায়।
মানুষের কথাই বোঝা জাই কানাডা যাওয়া যতটা সহজ । অতটাও সহজ নাই সে দেশে প্রবেশ করা। আর যদি তাই হতো তাহলে মানুষ দুবাই কাতার সৌদি আরব মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর ইতালিতে যাওয়া বাদ দিয়ে সবাই কানাডাতেই যেত।
কানাডার জব অফার পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে
অনলাইন এপ্লিকেশন ফরম পুরুন।পাসপোর্ট এর Information Page এর স্কান কপি।
ফটোগ্রাফ (8 কপি ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা (Size 35″x 45″) অথবা সফট্ কপি।
সার্টিফিকেট: সকল শিক্ষা সনদের স্কান কপি।
অভিজ্ঞতার সনদ পত্র।
এইসব ডকুমেন্টগুলি যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে আপনি কারাটে খুব তাড়াতাড়ি জব ভিসা বা জব অফার পেয়ে যাবেন ।
কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৪
কানাডায় কৃষি ভিসার দাম সাধারণত ৪ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয় । তবে ৪ থেকে ১০ লাখ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে । যারা কৃষি বিষয়ে দক্ষ এবং কৃষি বিষয়ে কানাডায় কাজ করতে চান তাহলে তেনাদের ৪ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হবে ।
আরো পড়ুন - নগদে সর্বনিম্ন কত টাকা ক্যাশ আউট করা যায়