ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২৪ | ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৪
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২৪- বর্তমান যুগে বেকারত্ব যুবকের পরিমাণ প্রায় বেড়ে চলেছে তাই অনেকেই বাইরে দেশ-বিদেশে কাজকর্মের জন্য চলে যাচ্ছে তাই তার একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে ডকুমেন্টস পাসপোর্ট ।
বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে পাসপোর্ট বা আপনার সমস্ত ডকুমেন্টস এমনই একটা প্রয়োজনীয় জিনিস যেটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায় এবং এটি না থাকলে আপনার প্রচুর ক্ষতিও হতে পারে । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন ।
তাই আপনাদের এই ই- পাসপোর্ট বানানোর নিয়মকানুন গুলো জেনে রাখা অবশ্যই দরকার কারণ যদি কখনো আপনি ই- পাসপোর্ট বানাতে চান তাহলে কোন ডুবলিকেট বা দুই নম্বরি দালালের কাছে না পড়েন এবং আপনি নিজেই পোস্টটি পড়ে সেই সমস্ত ই-পাসপোর্টের বিষয়ক তথ্য গুলো জেনে নিন ।
আরো পড়ুন - ওয়ালটন ফ্রিজ 10 সেফটি দাম কত
আর এফ এল গ্যাসের চুলার দাম বাংলাদেশ ২০২৪
ভিশন ফ্রিজ ১২ সেফটি দাম কত ২০২৪
নগদ উপবৃত্তির টাকা দেখার নিয়ম | মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা দেখার নিয়ম
বর্তমানে এই টেকনোলজির যুগে বা ডিজিটাল যুগে ই-পাসপোর্ট বানানো খুবই সহজ এবং নিজের ঘরে বসে একটি কম্পিউটার বা মোবাইল এর মাধ্যমে বানাতে পারবেন কোনো দুই নম্বরি ছাড়াই । আর এই ই- পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য পূর্বে অনেক সময় লেগে যেত কিন্তু বর্তমানে এই সময়ে মোবাইল বা কম্পিউটার মাধ্যমে করার ফলে খুবই সহজে খুবই তাড়াতাড়ি এই ই-পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায় ।
আপনি যদি প্রথমত এই ই-পাসপোর্ট আবেদন করে দেন তাহলে পূর্ব সিডিউল ছাড়াই স্থানীয় ই- পাসপোর্ট অফিসে আপনি সাবমিট করতে পারবেন। এবং আপনি এটা ধারণা করতে পারেন যে আপনার সমস্ত ডকুমেন্ট যদি সম্পূর্ণ নিখুঁত ও ঠিকঠাক থাকে তাহলে মাত্র ১ মাসের মধ্যে ই-পাসপোর্টটি আপনারা হাতে পেয়ে যাবেন ।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪
সরকারের নানা ধরনের কাজের জন্য ডিজিটাল এই যুগে সাধারণত আমরা ব্যবহার করে থাকি মোবাইল বা কম্পিউটার তাই সেরকমই একটি বিশেষ মোবাইল বা কম্পিউটার দ্বারা আবেদন হচ্ছে ই-পাসপোর্ট আবেদন যেটি আপনারা ঘরে বসেই নিজে আবেদন করতে পারবেন ।
তাই আপনারা এই অ্যাপ্লিকেশন টা করার জন্য সর্বপ্রথমে আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে গুগোল ব্রাউজারটি ওপেন করবেন এবং সেখানে টাইপিং করবেন E - Passport Online Registration Portal তারপর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন ।আর তারপরে দেখতে পাবে একটি এপ্লাই অনলাইন (Apply online) নামে বাটন সেটিতে ক্লিক করবেন এবং আবেদনের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া পরপর শুরু হয়ে যাবে । ভিডিওটি দেখে নিন -
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৪ | বাংলাদেশে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
বর্তমানে আপনি যদি প্রথমত অনলাইনে e-passport অ্যাপ্লিকেশন করেন বা আবেদন করেন তাহলে তার জন্য কোনো কাগজপত্র লাগবে না । তবে যদি আপনার প্রথম ডকুমেন্ট সহ সম্পূর্ণ কাজগুলি ভালোভাবে হয়ে যায় তাহলে তার পরে যে জিনিস গুলো লাগবে সেগুলি হচ্ছে -
কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ।
ব্যাংকের ফি জমা দেওয়ার রশিদ ।
আরো পড়ুন - দুরন্ত সাইকেল ছবি ও দাম ২০২২
গিয়ার সাইকেল দাম কত | সাইকেলের ছবি ও দাম ২০২২
হিরো সাইকেলের ছবি ও দাম বাংলাদেশ ২০২২
ই পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায় ২০২৪
বর্তমানে বিশেষকরে পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট উভয়ের ক্ষেত্রে তিনটে মাধ্যমের দ্বারা ডেলিভারি হয় । আপনি যখন ই-পাসপোর্ট টি এর সমস্ত কিছু আবেদন করে দেবেন তারপরে বিশেষ সময় অন্তর কর্মদিবস পর ই - পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন । যেগুলি মূলত,
Regular- ১৫ কর্মদিবসExpress- ৮ কর্মদিবসে
Super Express- দুই কর্মদিবস
বিশেষ করে দেশের ভেতরে অতি জরুরী একটি জিনিস পাসপোর্ট এবং এই পাসপোর্ট আবেদন সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য গুলো যদি সঠিক পরিমাণে থাকে তাহলেও তার সাপেক্ষে দুই কর্মদিবসের মধ্যে সুপার এক্সপ্রেস পাসপোর্ট প্রদর্শন করা হয় ।
ই পাসপোর্ট করার খরচ ২০২৪ | ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
সাধারণত সকল পাসপোর্ট এর খরচ বা দাম এক নই, ডেলিভারির সময় পাসপোর্টের পৃষ্ঠা এবং পাসপোর্টের মেয়াদ সময় সীমার উপর পাসপোর্ট এর খরচ নির্ভর করে । তাই ই-পাসপোর্ট গুলির বিভিন্ন ধরনের মূল্য হয় । যথা,
৪৮ পৃষ্ঠার 5৫ বছর মেয়াদসম্পূর্ণ ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি ফি সহ
Regular- ৪ হাজার ২৫ টাকা ।Express- ৬ হাজার ৩২৫ টাকা ।
Super Express- ৮,৬২৫ টাকা ।
৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদীসম্পূর্ণ ই- পাসপোর্ট ডেলিভারি ফি সহ
Regular- ৫ হাজার ৭৫০ টাকা ।Express- ৮ হাজার ৫০ টাকা ।
Super Express- ১০ হাজার ৩৫০ টাকা ।
৬৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদীসম্পন্ন ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি ফি সহ
Regular- ৬ হাজার ৩২৫ টাকা ।Express- ৮ হাজার ৬২৫ টাকা ।
Super Express- ১২ হাজার ৭৫ টাকা ।
৬৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদসম্পন্ন ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি ফি সহ
Regular- ৮ হাজার ৫০ টাকা ।Express- ১০ হাজার ৩৫০ টাকা ।
Super Express- ১৩ হাজার ৮০০ টাকা ।
ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম | কোথায় টাকা জমা দেবেন
যদিও এই ই-পাসপোর্টের আবেদন অনলাইন দ্বারা সম্পন্ন হলে শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী ফ্রী প্রদান করতে হয় । বর্তমানে সরকারি পেমেন্ট গুলি সম্পূর্ণরূপে ওয়েবসাইট এর দ্বারা বন্ধ রয়েছে ।
অতএব, আপনারা যদি প্রেমেন্ট করতে চান তাহলে সোনালী ব্যাংক , ট্রাস্ট ব্যাংক , ওয়ান ব্যাংক , ঢাকা ব্যাংক , প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়াতে নিজে হেঁটে গিয়ে টাকা জমা দিয়ে আপনাকে রশিদ সংগ্রহ করতে হবে । এবং যে ব্যাংক ডিপোজিট ফরম টি আছে সেখানে আবেদনকারীর নাম এবং ই-পাসপোর্টে দেওয়া আবেদনকারীর নাম ভিন্ন ভিন্ন হতে হবে ।
এছাড়াও আপনার সমস্ত ডকুমেন্টস সহ ফটোকপি প্রয়োজন হতে পারে । একই সাথে পাশাপাশি অনলাইনে আবেদনের যে প্রিন্ট কপি সেটিও নিয়ে যাবেন ।
এবং আপনাদের সর্বক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে জিজ্ঞাসিত সকল তথ্যগুলি সব সঠিক আছে কিনা । কারণ যখন পুলিশ ভেরিফিকেশন হয় তখন যদি আপনাদের ওই তথ্যগুলি ব্যতিক্রম কোনো কারণে ভুল পাওয়া যায় তাহলে পরবর্তীতে সমস্যায় পড়তে হবে । তাই এই পাসপোর্ট বানানোর সম্পর্কে আপনাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে এবং ভালো করে সাবধানতার সঙ্গে এটি হ্যান্ডেল করতে হবে ।
আরো পড়ুন - থাইরয়েড কমানোর উপায় | থাইরয়েড নরমাল কত পয়েন্ট
১। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে। ২। ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না। ৩। ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। ৪। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে। ৫। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। ৬। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে- (ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version). (খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) (গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রহণযোগ্য হবে। ৭। তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়। ৮। দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে। ৯। আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে। ১০। ১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার। ১১। প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে। ১২। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে। ১৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে। ১৪। দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে। ১৫। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে। ১৬। বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। ১৭। অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে। ১৮। (ক) দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে। (খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে। (গ) দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে। ১৯। আবেদনের সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে। ২০। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে। ২১। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে। ২২। ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ আর (3R Size) সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে। ২৩। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সময় পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জিডি কপিসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে ।