ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৪ | IBBL khidmah credit card
ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা - ক্রেডিট কার্ড বর্তমানে আমাদের অনলাইন জগতে চলার পথে একটি ক্রেডিট কার্ড অবশ্যই দরকার ।
কারণ আমাদের প্রত্যেক দিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বিল পেমেন্ট কিংবা আমাদের দরকার বা প্রয়োজনের জন্য যে লোন নেওয়া এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজ হয়ে থাকে ।
তবে এই ক্রেডিট কার্ড প্রত্যেকটি ব্যাংকের আলাদা আলাদা রকমের হয় । আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন ।
আরো পড়ুন -
সিঙ্গার ফ্রিজ ১২ সেফটি মূল্য তালিকা 2024
আর এফ এল গ্যাসের চুলার দাম বাংলাদেশ ২০২৪
ভিশন ফ্রিজ ১২ সেফটি দাম কত ২০২৪
ওয়ালটন ফ্রিজ ১০ সেফটি দাম কত ২০২৪
প্রায় প্রত্যেকটি ব্যাংকের গ্রাহক এরই ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা আছে । বর্তমানে মানুষের স্বপ্ন পূরণের প্রধান মাধ্যম হলো ক্রেডিট কার্ড কারণ এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মানুষ খুব সহজে লোন নিতে পারে এবং স্বপ্ন পূরণ করতে পারে । ক্রেডিট কার্ড হলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি কার্ড।
প্লাস্টিক বা মেটালের তৈরি এই কার্ড দিয়ে কেনাকাটা বা অন্যান্য সেবার জন্য ঋণ নেওয়া যায়। তবে যে কেউ ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন না। আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার প্রমাণ দেখালে তবেই ব্যাংক আপনাকে ক্রেডিট কার্ড দেবে। অর্থাৎ, বিশেষ কিছু যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারলেই ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যাবে । তো চলুন ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা গুলি নিচে দেখে নেওয়া যাক ।
ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা | IBBL khidmah credit card
ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড তিন ধরনের হয়ে থাকে । সিলভার কার্ড, গোল্ডেন কার্ড, প্লাটিনাম কার্ড, তবে এই প্রত্যেকটি কার্ডের জন্য আপনাকে তিন রকম ভাবে মেনটেনেন্স এবং আপনার তিন রকম যোগ্যতা লাগবে । সিলভার কার্ডের জন্য আপনাকে মাসিক ৫০,০০০ টাকা ইনকাম দেখাতে হবে । গোল্ড কার্ডের জন্য ১,০০,০০০ টাকা ইনকাম দেখাতে হবে । এবং প্লাটিনাম কার্ড এর জন্য সর্বনিম্ন ২,০০,০০০ অবধি আপনাকে ইনকাম দেখাতে হবে । তো চলুন ইসলামী ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা নিম্নে দেখে নেওয়া যাক ।
ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই যোগ্যতা থাকতে হবে । তবে আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন, কিংবা আপনি যদি সরকারের কোনো সার্ভিস করেন তাহলে আপনি খুব সহজে ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন । তবে ব্যবসায়ীদের জন্য এবং চাকরিজীবীদের জন্য এবং পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে এই ক্রেডিট কার্ড বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে নিম্নে তা দেখানো হলো ।
ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা বা নিয়ম
দুই কপি ছবি।আপনার ব্যংক একাউন্টের ট্রান্সজেকশনের মেয়াদ ১ বছর দেখতে হবে।
বছরে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার লেনদেন দেখতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।
ট্রেড লাইসেন্স লাগবে।
রেফারেন্স লাগবে।
উপরে দেওয়া তথ্যগুলো অনুসরণ করে একজন ব্যবসায়ী ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবে ।
পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা বা নিয়ম
১. কোন কোম্পানিতে আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে সেই কোম্পানির একটি সার্টিফিকেট লাগবে ।
২. দুই কপি রঙিন ছবি ।
৩. এনআইডি কার্ড ।
৪. বিদ্যুৎ বিল কিংবা গ্যাসের বিল রেফারেন্স অবশ্যই লাগবে ।
চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার নিয়ম
দুই কপি ছবি।৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখতে হবে।
স্যালারির পরিমান মাসিক ৩০ হাজার টাকার বেশি হতে হবে।
চাকরির মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬ মাসের অধিক থাকতে হবে।
টিন সার্টিফিকেট লাগবে।
ন্যাশনাল আইডি কার্ড লাগবে।
কোন আত্নীয়ের রেফারেন্স লাগবে ।
আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে উপরের দেয়া ডকুমেন্টস গুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে পারেন ।
ক্রেডিট কার্ড কি
ক্রেডিট কার্ড বর্তমানে এমন একটি কার্ড যেটা প্রত্যেকটি ব্যাংকের গ্রাহক কে একসঙ্গে এক জায়গায় এবং নির্দিষ্ট একাউন্টের বিনিময়ে যে কার্ড এর সুবিধা প্রদান করা হয় তাকে বলে ক্রেডিট কার্ড । এটি হলো একটি খুব জনপ্রিয় মাধ্যম প্রায় সকল ধরনের ব্যাংক তাদের এই ক্রেডিট কার্ড কাস্টমারদের প্রদান করে থাকে । তবে এই ক্রেডিট কার্ড এই ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে আপনি যেকোন বিল পেমেন্ট খুব সহজে করতে পারবেন । এছাড়াও খুব দ্রুত ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন এবং অনলাইন জগতে আপনি আপনার ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজে শপিং করতে পারবেন ।
ক্রেডিট কার্ড কিভাবে বানাবেন
ক্রেডিট কার্ড হল এমন একটি কার্যে কার্ডে আপনার নির্দিষ্ট কিছু টাকা ব্যাংক থেকে জমা করা থাকবে ।এবং আপনি আপনার প্রয়োজন মত সেই টাকা খরচ করবেন তবে হ্যাঁ পরবর্তীতে ওই টাকা আবার আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আস্তে আস্তে কেটে নেয়া হবে । তো চলুন এই ক্রেডিট কার্ড কিভাবে বানাবেন সে বিষয় নিম্নে দেখে নেওয়া যাক ।
প্রথমত ক্রেডিট কার্ড বানানোর জন্য আপনাকে যেকোন একটি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হবে ।
ব্যাংক একাউন্টে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ রাখতে হবে ।
ব্যাংক একাউন্টের মেয়াদ ছয় মাস হলে আপনি সরাসরি ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং ম্যানেজারকে বলবেন আমার একটি ক্রেডিট কার্ড চাই তখন ম্যানেজার আপনাকে প্রসেস বলে দেবে ।
যদি আপনি ভিসা কার্ড পাওয়ার যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ভিসা কার্ড দেবে ।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম
বর্তমানে দিনের-পর-দিন ক্রেডিট কার্ড এর চাহিদা বেড়েই চলেছে আর এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি মুহূর্তের মধ্যে শপিং করতে পারবেন কিংবা আপনার প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারবেন যেহেতু প্রত্যেকটি ক্রেডিট কার্ডে ব্যাংকে তরফ থেকে কিছু টাকা আগে থেকেই জমা রাখা থাকে ।
তবে এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে সেই নিয়মগুলি নিম্নে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি ।
প্রথমত ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে ব্যাংকের বিভিন্ন কাইটেরিয়া পূরণ করতে হবে । তবে হ্যাঁ ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার পরে আপনি খুব সামান্য কিছু টাকা প্রথমে ব্যবহার করতে পারবেন । তারপর ব্যাংক যদি বুঝে আপনি ঠিকঠাক ব্যবহার করছেন তাহলে ব্যাংক আপনাকে বড় এমাউন্টের একটি টাকা ব্যবহার করতে দেবে ।
তবে আপনি যদি ওভার লিমিট করে ফেলেন বা আপনি যদি আপনার নির্দিষ্ট টাকার বেশি খরচ করে ফেলেন তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত টাকা টেক্স পেমেন্ট করতে হবে । তবে জেনে বুঝে এবং আপনার ক্রেডিট কার্ডে কত লিমিট আছে সেটি ভালো করে জেনে ব্যবহার করবেন ।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা
১. ক্রেডিট কার্ডে আপনি যত টাকা খরচ করছেন তার ওপরে কিছু ক্যাশব্যাক পয়েন্ট পাবেন ।
২. কোন পণ্য বা জিনিস কেনার সময় আপনাকে সব টাকা একবারে পেমেন্ট করতে হবে না আপনি প্রত্যেক মাসে মাসে পেমেন্ট করতে পারবেন ।
৩. হোটেল বুকিং কিংবা প্লেন টিকিট করার সময় আপনি ক্যাশব্যাক পাবেন ।
৪. ক্রেডিট কার্ড হল খুব সিক্রেট একটি জিনিস কোন ব্যক্তির ক্রেডিট কার্ড থেকে সহজে টাকা তোলা যাবে না ।
৫. ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খুব সামান্য পরিমাণের সুদে আপনি টাকা নিতে পারবেন ।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা
১. এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি যদি আপনার লিমিট ছাড়া বেশি ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত টেক্স পেমেন্ট করতে হবে ।
২. এই ক্রেডিট কার্ড নিয়ে আপনি ওভার লিমিট করে ফেলেন তাহলে আপনার চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ বাড়বে এই সুদ বাড়তে বাড়তে এমন একদিন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে যাবেন যে এই ক্রেডিট কার্ডের আসল তো দূরের কথা আপনার সুদ শোধ করতে করতে মৃত্যু হতে পারে ।
৩. ক্রেডিট কার্ডের ইনস্টলমেন্ট দিতে দেরি হলে অনেক অফার আপনি পাবেন না ।
৪. ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার পরে আপনি যদি ব্যবহার না করেন তাহলেও আপনাকে প্রত্যেক বছর ক্রেডিট কার্ড চার্জ দিতে হবে ।
ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা এই আর্টিকেলের মধ্যে আমি ইসলামী ব্যাংকে কিভাবে ক্রেডিট কার্ড নিতে হয় সে বিষয়টি সম্পূর্ণ দেখিয়েছি । এছাড়াও ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা অসুবিধা । ব্যবসায়ী কার্ড কিভাবে পাওয়া যায় চাকরিজীবী ক্রেডিট কার্ড কিভাবে পাওয়া যায় এই বিষয়টি সম্পূর্ণ তুলে ধরেছে এই আর্টিকেলের মধ্যে ।
আমি আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে ক্রেডিট কার্ড সম্বন্ধে আপনার আর কোন রকম কোন সন্দেহ থাকবে না । এরকম আরো ভালো ভালো পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে অবশ্যই ভিজিট করবেন ।
আরো পড়ুন - আট হাজার টাকার মোবাইল
নগদে সর্বনিম্ন কত টাকা ক্যাশ আউট করা যায়