ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ | কোন কোন ব্যাংকে পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়া যায়
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম কানুন - বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করব ই পাসপোর্ট করার নিয়ম কানুন। আপনারা যারা বিদেশে যেতে চান তাদের সবারই পাসপোর্ট করার প্রয়োজন আছে।
কিন্তু ই পাসপোর্ট করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় এবং দালাল ধরতে হয়। এগুলো ছাড়াই আপনারা কিভাবে সহজেই নিজের পাসপোর্ট নিজে করতে পারবেন সে বিষয়টি আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আশা করি, এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের নিজেদের ই পাসপোর্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২৪
ই পাসপোর্ট কিভাবে করবেন তার নিয়ম কানুন আমি সংক্ষেপে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। ই পাসপোর্ট করতে আপনাদের এই নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে হবে তাহলে, আপনারা আপনাদের নিজেদের পাসপোর্ট নিজেরাই করে নিতে পারবেন। ই পাসপোর্ট তৈরির নিয়ম কানুন গুলো জানার জন্য আপনারা নিজে পড়ুন।
১. প্রথমত আপনাদের ই-পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিতে হবে।
২. এরপর পাসপোর্ট এপ্লিকেশন ফরম পূরণ করতে হবে।
৩. এরপর পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে।
৪.এরপর আবেদন ফরম পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে ও বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে।
৫. এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হবে।
৬. এরপর পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করে নিতে হবে।
৭. এরপর পাসপোর্ট সংগ্রহ করা করতে হবে।
আপনাদের সুবিধার্থে ওপরে পাসপোর্ট করার নিয়ম তুলে ধরা হয়েছে। আপনারা যদি উপরের এই নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে, অবশ্যই আপনার আপনাদের পাসপোর্ট করে নিতে পারবেন। পাসপোর্ট করতে হলে উপরের এই নিয়ম অনুযায়ী করতে হবে।
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৪
আপনারা যারা ই পাসপোর্ট করতে চান কিন্তু ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে জানেন না। ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সেটি জানার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে থাকেন? তারা নিচে পড়ুন।
আপনাদের সুবিধার জন্য এখন এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। এই তথ্য অনুযায়ী আপনারা আপনাদের ই পাসপোর্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। নিচে তথ্য গলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১. প্রথমে অনলাইনের আবেদনের সারসংক্ষেপ প্রয়োজন হবে।
২. এরপর অনলাইনের আবেদনের কপি প্রয়োজন হবে।
৩. এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র/ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবে।
৪. এরপর ঠিকানার প্রমাণপত্র/ ইউটিলিটি বিলের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) প্রয়োজন হবে।
৫. এরপর পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি এবং অরিজিনাল পাসপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এর প্রয়োজন হতে পারে।
৬. পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি লাগবে (শিশুদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক) ।
৭. পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকুরীর আইডি কার্ড (পেশাজীবির ক্ষেত্রে- যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক, আইনজীবি) প্রয়োজন হবে।
৮. নাগরিক সনদ/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) লাগবে ।
পাসপোর্ট করতে হলে আপনাদের এই উপরের তথ্যগুলো লাগবে। আপনারা যারা নিজেদের পাসপোর্ট করতে চান বা তাদের জন্য এই তথ্যগুলো আবশ্যক। পাসপোর্ট করার আগে আপনাদের তথ্যগুলো সংগ্রহ করে নিতে হবে।
এই তথ্যগুলো আপনারা যদি সংগ্রহ করতে না পারেন তাহলে আপনার আপনাদের পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন না। তাই এই তথ্যগুলো আগে সংগ্রহ করুন এরপর নিজের পাসপোর্ট নিজেরাই তৈরি করুন।
ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
৫ বছর মেয়াদী আর ১০ বছর মেয়াদী জন্য করতে পারবেন। যেকোনো মেয়াদের জন্য টাকা ও ভিন্ন ভিন্ন হবে সেগুলো আলোচনা করা হলো।
১. রেগুলার ভাবে ই পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৪,০২৫ টাকা লাগবে এবং ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৫,৭৫০ টাকা লাগবে।
রেগুলার ভাবে ই পাসপোর্ট ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৬,৩২৫ টাকা লাগবে এবং ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৮,০৫০ টাকা লাগবে।
২. এক্সপ্রেস ভাবে ই পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৬,৩২৫ টাকা লাগবে এবং ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৮,০৫০ টাকা লাগবে।
এক্সপ্রেস ভাবে ই পাসপোর্ট ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৮,৬২৫ টাকা লাগবে এবং ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ১০,৩৫০ টাকা লাগবে।
৩. সুপার এক্সপ্রেস ভাবে ই পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৮,৬২৫ টাকা লাগবে এবং ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ১০,৩৫০ টাকা লাগবে।
সুপার এক্সপ্রেস ভাবে ই পাসপোর্ট ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ১২,০৭৫ টাকা লাগবে এবং ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ১৩,৮০০ টাকা লাগবে।
বি:দ্র: এই ফি গুলোর মধ্যে ১৫% ভ্যাট রয়েছে তবে সরকারি চাকরিজীবিদের যাদের NOC আছে বা অবসর সনদ আছে, তারা রেগুলার ফি দিয়ে জরুরী সুবিধা পাবেন। এবং সরকারী চাকরীজীবিদের জন্য জরুরী আবেদন প্রযোজ্য নয়।
ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে আপনাদের ই পাসপোর্ট এর জন্য টাকা জমা দেয়া লাগবে। আপনার এই টাকাগুলো কিভাবে জমা করবেন এবং কোথায় জমা করবেন সে বিষয়টি নিচে আলোচনা করা হলো।
প্রথমেই বলে রাখি ই পাসপোর্ট করার জন্য পেমেন্ট করতে হয় সেগুলো কয়েকটি ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হবে। কোন ব্যাংকে আপনারা ই পাসপোর্ট এর জন্য পেমেন্ট করতে পারবেন সেগুলো হলো।
২. ট্রাস্ট ব্যাংক
৩. ওয়ান ব্যাংক
৪. ঢাকা ব্যাংক
৫. প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং
৬. ব্যাংক এশিয়াতে সশরীরে গিয়ে টাকা জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।
বি:দ্র: ব্যাংক ডিপোজিট ফর্মে আবেদনকারীর নাম এবং ই-পাসপোর্টে দেয়া আবেদনকারীর নাম সম্পূর্ণ এক হতে হবে। এক রকম না হলে ই-পাসপোর্ট করা যাবে না।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং আবেদনপত্রের সামারি আপনারা যখন পেমেন্ট করবেন তখন আপনাদের এই তথ্যগুলো প্রয়োজন হবে। যেটি অনলাইন আবেদন জমা দেয়ার পরেই ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে। পাসপোর্ট আপনারা তিন ভাবে করতে পারবেন।
পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার ভিত্তিতে আপনারা তিন ভাবে পাসপোর্ট নিতে পারেন সেগুলো হলো:
১. রেগুলার ভাবে পাসপোর্ট নিতে পারেন।
২. এক্সপ্রেস ভাবে পাসপোর্ট নিতে পারেন।
৩. সুপার এক্সপ্রেস ভাবে পাসপোর্ট নিতে পারেন।
১. রেগুলার ভাবে পাসপোর্ট: আপনারা রেগুলার ভিত্তিতে পাসপোর্ট নিতে চাইলে আপনারা ১৫ দিনের মধ্যে আপনার আপনাদের পাসপোর্ট নিতে পারবেন।
২. এক্সপ্রেস ভাবে পাসপোর্ট: আপনারা এক্সপ্রেস ভাবে পাসপোর্ট নিতে চাইলে সরকার নির্ধারিত সময় হচ্ছে ৮ দিনের মধ্যে আপনার আপনাদের পাসপোর্ট নিতে পারবেন।
৩. সুপার এক্সপ্রেস ভাবে পাসপোর্ট: আপনারা সুপার এক্সপ্রেস ভাবে পাসপোর্ট নিতে চাইলে মাত্র ২ দিনের মধ্যেই পাসপোর্ট পেয়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে দ্বিগুনেরও বেশি টাকা খরচ করার প্রয়োজন হতে পারে।
পাসপোর্ট এর পাতার উপর ভিত্তি করে আপনারা ২ ধরনের পাসপোর্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। একটি হল ৪৮ পৃষ্ঠা এবং আরেকটি হল ৬৪ পৃষ্ঠা ।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
৫ বছর মেয়াদী আর ১০ বছর মেয়াদী জন্য করতে পারবেন। যেকোনো মেয়াদের জন্য টাকা ও ভিন্ন ভিন্ন হবে সেগুলো আলোচনা করা হলো।
১. রেগুলার ভাবে পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৪,০২৫ টাকা লাগবে এবং ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৫,৭৫০ টাকা লাগবে।
রেগুলার ভাবে পাসপোর্ট ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৬,৩২৫ টাকা লাগবে এবং ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৮,০৫০ টাকা লাগবে।
২. এক্সপ্রেস ভাবে পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৬,৩২৫ টাকা লাগবে এবং ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৮,০৫০ টাকা লাগবে।
এক্সপ্রেস ভাবে পাসপোর্ট ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৮,৬২৫ টাকা লাগবে এবং ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ১০,৩৫০ টাকা লাগবে।
৩. সুপার এক্সপ্রেস ভাবে পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৮,৬২৫ টাকা লাগবে এবং ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ১০,৩৫০ টাকা লাগবে।
সুপার এক্সপ্রেস ভাবে পাসপোর্ট ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ১২,০৭৫ টাকা লাগবে এবং ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ১৩,৮০০ টাকা লাগবে।
বি:দ্র: এই ফি গুলোর মধ্যে ১৫% ভ্যাট রয়েছে তবে সরকারি চাকরিজীবিদের যাদের NOC আছে বা অবসর সনদ আছে, তারা রেগুলার ফি দিয়ে জরুরী সুবিধা পাবেন। এবং সরকারী চাকরীজীবিদের জন্য জরুরী আবেদন প্রযোজ্য নয়।
জরুরি পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে ২০২৪
১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতার ই-পাসপোর্ট ১৫ দিনে পেতে হলে ফি দিতে হবে ৫,০০০ টাকাআর জরুরি ৭ দিনে পেতে হলে ফি দিতে হবে ৭,০০০ টাকা এবং অতি জরুরি ২ দিনে পাসপোর্ট পেতে ফি দিতে হবে ৯,০০০ টাকা।
কোন কোন ব্যাংকে পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়া যায় ২০২৪
কোন ব্যাংকে আপনারা পাসপোর্ট এর জন্য টাকা জমা করতে পারবেন সেগুলো হলো।
১. সোনালী ব্যাংক
২. ট্রাস্ট ব্যাংক
৩. ওয়ান ব্যাংক
৪. ঢাকা ব্যাংক
৫. প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং
৬. ব্যাংক এশিয়াতে
সাধারণত এই ব্যাংকগুলোতে পাসপোর্টের জন্য টাকা জমা দেওয়া হয়।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৪
আপনারা যারা পাসপোর্ট করতে চান কিন্তু পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে জানেন না পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সেটি জানার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে থাকেন? তারা নিচে পড়ুন।
আপনাদের সুবিধার জন্য এখন এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সেগুলো। এই তথ্য অনুযায়ী আপনারা আপনাদের পাসপোর্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। নিচে তথ্য গলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১. পাসপোর্ট করতে হলে প্রথমে আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ ফটকপি লাগবে।
২. বিদ্যুৎ বিলের কপি লাগবে।
৩. ব্যাংক জমা রশীদ লাগবে।
৪. পূরণকৃত ফরম লাগবে এবং
৫. আপনার ছবি লাগবে।
উপরের তথ্যগুলো দিয়ে আপনারা আপনাদের পাসপোর্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। শুধুমাত্র এই কয়েকটা তথ্যগুলো আপনাদের সংগ্রহ করে নিতে হবে। তাহলে আপনারা আপনাদের পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন।
পাসপোর্ট করতে বয়স কত লাগে ২০২৪
পাসপোর্ট করতে বয়স কত লাগে ? পাসপোর্ট করতে নির্দিষ্ট কোনো বয়স এর সীমা নেই , যে কোনো বয়সে পাসপোর্ট করা যায় এতে কোন সমস্যা নেই তবে নিয়ম রয়েছে। তবে বিদেশে কাজ করার জন্য সাধারনত ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়স লাগে।
10 বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
১০ বছর মেয়াদে আপনারা ৪৮ পৃষ্ঠার এবং ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।
১০ বছর মেয়াদে ৪৮ পৃষ্ঠার এবং ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট তৈরি করতে আপনাদের যে টাকা খরচ হতে পারে সেগুলো হলো:
১. রেগুলার ভাবে ই পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৫,৭৫০ টাকা লাগবে এবং ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৮,০৫০ টাকা লাগবে।
২. এক্সপ্রেস ভাবে ই পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ৮,০৫০ টাকা লাগবে এবং ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ১০,৩৫০ টাকা লাগবে।
৩. সুপার এক্সপ্রেস ভাবে ই পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ১০,৩৫০ টাকা লাগবে এবং ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদে নিতে আপনার ১৩,৮০০ টাকা লাগবে।
পুরাতন পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্ট | এমআরপি থেকে ই পাসপোর্ট ২০২৪
১) ই পাসপোর্ট করতে গেলে কোন ধরনের পেপারস সত্যায়িত করা লাগেনা ও ই-পাসপোর্টে ছবিও লাগবে না ।
২) অনলাইনে আবেদন করে থাকলে সামারি ফর্ম ও মূল আবেদন এর কালার প্রিন্ট লাগবে ।
৩) যদি পুরাতন পাসপোর্ট থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পাসপোর্টের বায়ো পেজের ফটোকপি ও মূল পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে ।
৪) যদি পেমেন্ট অনলাইনের মাধ্যমে করে থাকেন সেক্ষেত্রে কোন ধরনের পেমেন্ট স্লিপ লাগবে না, তবে অফলাইনে করলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পেমেন্ট স্লিপ এর প্রয়োজন হবে ।
৫) ১৮ বছর বা তার বেশি হলে সেই ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্রের অরজিনাল এবং ফটোকপি প্রয়োজন । বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে নিজের জন্ম নিবন্ধন ও পিতা-মাতার আসল ভোটার আইডি কার্ড ও ফটোকপি লাগবে ।
৬) স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে অবশ্যই নিম্নোক্ত ডকুমেন্ট দরকার হবে ( বিদ্যুত বিল /পানির বিল /গ্যাস বিল /টেলিফোন বিল / হোল্ডিং ট্যাক্স পেপার / হাউস রেইনটাল ডিড/ সিটি কর্পোরেশন থেকে নাগরিত্ব সনদ ) এর থেকে যেকোন একটি কাগজ প্রয়োজন হবে ।
৭) পেশা পরিবর্তন করতে চাইলে, যদি ছাত্র হোন তাহলে স্কুল, কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটির পরিচয় পত্র / ব্যবসায় হলে আপডেট ট্রেড লাইসেন্স এবং প্রাইভেট জব হলে অফিস পরিচয় পত্র
৮) যা পরিবর্তন করতে চান তার প্রপার ডকুমেন্টস থাকতে হবে (নামের বানানের ভুল সংশোধন বা বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন, এসএসসি এইচএসসি সার্টিফিকেট যদি থাকে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার পিতার এবং মাতার ন্যাশনাল আইডি কার্ড ) এর আসল কপিও লাগতে পারে ।
৯) নাম পরিবর্তন করা যায় না, তবে নামের বানানের সংশোধন করা যায় । সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধনের সাথে মিল থাকতে হবে । এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য না, যদি একান্তই প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসের ডি ডি এর সঙ্গে দেখা করতে হবে, নাম পরিবর্তন করার সাপেক্ষে যথাযথ প্রমান পত্র দেখাতে হবে, উনার পারমিশন না থাকলে সে ক্ষেত্রে সংশোধন করা যাবে না ।
১০) যদি আগে থেকে আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন থাকে সে ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের দরকার হয় না । এই সকল পেপারস বা ডকুমেন্ট নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে ।
শেষ কথা : ই পাসপোর্ট করার সকল নিয়ম কানুন আজকের এই পোস্টে তুলে ধরা হয়েছে আশা করি এই পোস্টটি আপনার একটু হলেও উপকারে আসবে । ই-পাসপোর্ট সর্ম্পকে আপনার যদি আরো তথ্য জানার প্রয়োজন পড়ে তাহলে বাংলাদেশ সরকারের ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন - https://www.epassport.gov.bd/