অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় | ঘুম বেশি হওয়ার কারণ
অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় | ঘুম বেশি হওয়ার কারণ - ঘুম আমাদের জীবনের একটি বিশেষ অংশ বলা যায়। নিয়ম মাফিক যদি আপনার না ঘুমাতে পারেন তাহলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আপনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে। কোন কিছু ভাল লাগবে না। সব কিছুতেই বা ভালো কিছুই আপনার খারাপ লাগবে। দীর্ঘ দিন যদি একা ধারে নিয়ম মাফিক না ঘুমাতে পারেন তাহলে তার দেহে সব ধরনের রোগ এসে আক্রমণ করবে।
আরো পড়ুন - বারডেম হাসপাতালের ঠিকানা এবং ডাক্তারদের তালিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের ঠিকানা ও ডাক্তারদের তালিকা
স্কয়ার হাসপাতাল ডাক্তারের তালিকা ঢাকা | Square Hospital Doctor List
আরো পড়ুন - গিয়ার সাইকেল দাম কত | সাইকেলের ছবি ও দাম ২০২৪
হাইব্রিড বাই সাইকেল | সাইকেল দাম বাংলাদেশ ২০২৪
মোটা চাকার সাইকেল দাম বাংলাদেশ ২০২৪
হিরো সাইকেলের ছবি ও দাম বাংলাদেশ ২০২৪
রাতে ঘুম না আসার কারণ
রাতে ঘুম না হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সেই কারণ গুলো আপনারা যদি ধরে দিবো আর সমাধান করে দিবো। সেই বিষয় গুলো কে বাদ দিয়ে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ঘুম আসবে।তা নিচে দেওয়া হলঃ
রাতে ঘুম না হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো আপনারা যদি সিগারেট,চা,কফি বা কোন নিকোটিন জাতীয় কিছু খেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার রাতে ঘুম কম হবে। ঘুম কম হওয়ার কারণ গুলো আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে বা এগুলা খাওয়া যাবে না। আপনার ঘুম যদি ভালো না হয় তাহলে আপনার শরীর-মন সবই খারাপ থাকে। তাই অবশ্যই বিষয়গুলো বাদ দিয়ে চলবেন তাহলে অবশ্যই রাতে আপনার ঘুম আসবে।
রাতে ঘুমানোর জন্য আপনাকে এমন একটি স্থান বেছে নিতে হবে যেখানে কোন প্রকার আওয়াজ বা ঠান্ডা জায়গা। ঘুমানো জন্য ঠান্ডা জায়গা সব থেকে বেশি ভালো তার কারন হল যে ঠান্ডা জায়গাতে খুব সহজে ঘুম আসে। গরম স্থানে বা জায়গাতে ঘুমানো যায় না তার কারন হল গরম স্থানে ঘুমাতে গেলে আমাদের অনেক গরম লাগে তাই ঠান্ডা জায়গাতে ঘুমানোর জায়গা ঠিক করবেন।
রাতে যদি ঘুম না আসে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ঘুমানোর আগে গোসল করে নিতে হবে। গোসল করতে হবে কিন্তু হালকা গরম পানি দিয়ে। অনেকেই ভাবতে পারেন যে গরম পানি দিয়ে গোসল করার চেয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করাই তো ভালো হবে। এটা আসলেই ভুল ধারনা। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে অল্প সময়ের জন্য শরীল ঠান্ডা হয় আর গরম পানি দিয়ে গোসল করলে অনেক বা বেশি বা সারা রাত ঠান্ডা থাকে। আর আপনার ঘুম ভালো হবে।
রাতে ঘুম আসার আগে অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। বিছানায় শোয়ার পর কোন প্রকার মোবাইল ব্যবহার,ইন্টারনেট ব্যবহার আর লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়তে হবে আর ঘুমের দোয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দোয়া পাঠ করবেন। তাহলে অবশ্যই আপনার ঘুম আসবে আর কোন ঘুমের সমস্যা হবে না। এই নিয়মগুলো যদি আপনি মানতে পারেন তাহলে আপনার আর কোন প্রকার রাতে ঘুমের সমস্যা হবে না।
ঘুম বেশি হওয়ার কারণ
আমাদের দেহ কে সুস্থ্য রাখার জন্য সব থেকে বেশি প্রয়োজন হল ঘুম। যদি আপনারা পর্যাপ্ত ঘুম পারতে পারেন তাহলে আপনারা শারীরিক অসু্স্থ্যতা বোধ তার সাথে মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার অতিরিক্ত ঘুমালে যে ভয়াবহ রোগ আক্তমন করে তা হল ডায়াবেটিস আরো ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
অন্য পোষ্ট পড়তে -
অতিরিক্ত ঘুম আসার কারনে শরীল ক্লান দেখাই তার পাশাপাশি অতিরিক্ত ঘুমের কারনে ডিপ্রেশন সমস্যাটি দেখা দেয়। এতে করে আমাদের নানা সমস্যার আমাদের সামনে এসে দাড়াই। তাই আমরা সবাই নিয়ম মাফিক ঘুমাতে চেষ্টা করবো।
অতিরিক্ত রাত জাগলে আর ঘুম থেকে দেরিতে উঠলে মানুষের হায়াত কমে যায়। এই কথাটা একদম সত্য। তাই আমরা সকলেই নিয়ম মাফিক ঘুমাবো এবং বেশী রাত জাগবো না।
যে সব নারীরা নিয়ম মাফিক ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমায় তাদের সন্তান ধারণের ক্ষমতা থাকে শরীর ৪৬% শতাংশ আর যারা অতিরিক্ত ঘুমাই ৯ থেকে ১১ বা ১২ ঘন্টা তাদের সন্তান ধারণের ক্ষমতা সম্ভাবনা থাকে ৪৩% শতাংশ। এতে করে বুঝা গেল যে অতিরিক্ত ঘুমানোর জন্য এই সমস্যাটা দেখা দেয় তাই প্রতিটি মেয়ের জন্য নিয়ম মাফিক সবাই ঘুমাতে চেষ্টা করবেন।
আমি আপনাদের কে সহজ ভাষায় একটি কথা বলে। প্রয়োজন মতো সব কিছুই ঠিক কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবকিছুই ঠিক। তেমনি মানুষ প্রয়োজন মাফিক ঘুমালে তার কোন সমস্যা হবে না। তার স্বাস্থ্যের জন্য আরো ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত ঘুমালে এই সমস্যাগুলো দেখা দিবে।তাই অবশ্যই সকলেই নিয়ম মাফিক ঘুমাবেন। একজন সুস্থ থাকার জন্য ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা এর বেশি ঘুমালে সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়
আমরা অনেকেই রাতে একটু দেরিতে ঘুমাই। ঘুমাতে গিয়ে আমরা মোবাইল ব্যবহার করি ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথবা ফেসবুক চালিয়ে থাকে। এইসব করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায়। কিন্তু অনেকক্ষণ রাত জাগার পর আমাদের ঘুম সহজে আসেনা। এপাশ-ওপাশ করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায়,কখন ঘুমিয়ে যায় তা আমাদের মনেই থাকে না। সকালে আমাদের ঘুম থেকে ওঠতেই মন চাই না। আমরা সকাল বেলা বা যারা রাতে দেরিতে ঘুমাই তারা সকালে অনেক দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে। একটা কথা মনে রাখবে যে এক রাতের ঘুম না পারতে পারলে ঐ ঘুম আর কখনো পারা যায় না।
সকালে ঘুম থেকে যারা দেরি তে উঠে এটি বাজে অভ্যাস তাদের।সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠতে পারলে মন ফেস থাকে আর দেহ সতেজ থাকে। আর যারা দেরি তে ঘুম থেকে ওঠে তাদের মন মেজাজ খারাপ থাকে।
অন্য পোষ্ট - মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনারা সকলেই রাত দশটার সময় ভিতরে ঘুমিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনারা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারবেন। আর যদি দেরিতে ঘুমান তাহলে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হবে। সারাদিন আপনার খুব খারাপ যাবে। সারাদিন ঘুম পাড়ার ইচ্ছা করবে কিন্তু ঘুম আসবে না। আপনারা অবশ্যই এই দিক গুলো মেনে চলবেন। তাহলে আপনারা অতিরিক্ত ঘুম আসার কোনো সমস্যা দেখা দিবে না আপনার শরীর স্বাস্থ্য মন সব ভালো থাকবে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পর্কে যদি আরো কোন তথ্য জানতে ইচ্ছা হয় তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা অবশ্যই রিচার্জ করে আপনাদের সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব আর এ তথ্যটি সবাই আপনার বন্ধু-বান্ধব বা আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন যেন অন্য কেউ সহজে জানতে পারে আমাদের তথ্য সর্ম্পকে।