যশোর জেলার বিখ্যাত স্থান | যশোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ | যশোরের বিখ্যাত নদীটির নাম কি?
এ উপমহাদেশের ইতিহাসে যশোর একটি অতি প্রাচীন জনপদ । ব্রিটিশ আমলে যশোর ছিলো একটি মহকুমা । ১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিশিট ভারতের প্রথম অবিভক্ত প্রথম জেলা যশোর । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম স্বাধীন হওয়া জেলা যশোর । গুগল নিউজ দেখতে এখানে ক্লিক করুন ।
আরো পড়ুন - গিয়ার সাইকেল দাম কত | সাইকেলের ছবি ও দাম ২০২৪
হাইব্রিড বাই সাইকেল | সাইকেল দাম বাংলাদেশ ২০২৪
মোটা চাকার সাইকেল দাম বাংলাদেশ ২০২৪
হিরো সাইকেলের ছবি ও দাম বাংলাদেশ ২০২৪
বারডেম হাসপাতালের ঠিকানা এবং ডাক্তারদের তালিকা
স্কয়ার হাসপাতাল ডাক্তারের তালিকা ঢাকা | Square Hospital Doctor List
টাঙ্গাইল জেলা কেন বিখ্যাত | টাঙ্গাইল জেলা থানা কয়টি
আজকের স্বর্ণের দাম কত বাংলাদেশে | ১ ভরি সোনার দাম কত ২০২৩ বাংলাদেশে
যশোর জেলার সব উপজেলার নাম
যশোরের মোট উপজেলা ৮টি । যথা -
যশোর সদর উপজেলা ।
অভয়নগর উপজেলা ।
কেশবপুর উপজেলা ।
চৌগাছা উপজেলা ।
ঝিকরগাছা উপজেলা ।
বাঘারপাড়া উপজেলা ।
মনিরামপুর উপজেলা ।
শার্শা উপজেলা
যশোর জেলার সব থানার নাম
যশোর জেলার মোট ৮টি থানা এবং একটি পোর্ট থানা আছে । যথা -
যশোর সদর থানা ।
অভয়নগর থানা ।
কেশবপুর থানা ।
চৌগাছা থানা ।
ঝিকরগাছা থানা ।
বাঘারপাড়া থানা ।
মনিরামপুর থানা ।
শার্শা থানা (পোর্ট থানা) বেনাপোল ।
যশোর জেলার সব পৌরসভার নাম
যশোর জেলার মোট ৮টি পৌরসভা আছে । যথা -
যশোর পৌরসভা, যশোর ।
বেনাপোল পৌরসভা, শার্শা, যশোর ।
মণিরামপুর পৌরসভা, যশোর ।
কেশবপুর পৌরসভা, যশোর ।
ঝিকরগাছা পৌরসভা, যশোর ।
চৌগাছা পৌরসভা, যশোর ।
বাঘারপাড়া পৌরসভা, যশোর ।
নওয়াপাড়া পৌরসভা, অভয়নগর, যশোর ।
যশোর জেলার আয়তন ও জনসংখ্যা কত?
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে প্রশাসনিক কাঠামোর দিক থেকে যশোর বাংলাদেশের ১৩তম বৃহত্তম জেলা । জেলার মোট আয়তন ২৫৯৪.৯৫ বর্গমাইল এর মধ্যে ৬০ বর্গমাইল নদী এলাকা । ২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী যশোর জেলার মোট লোকসংখ্যা ২৭,৬৪,৫৪৭ জন ।
যশোর জেলার পূর্ব নাম কি?
অনেকের মতে প্রাচীন যশোহর থেকে যশোর নামের উৎপত্তি । আবার অনেকের মতে বাংলার দীর্ঘদিনের রাজধানী গৌড়ের যশ হরণ করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে এ নতুন রাজ্যের নামকরণ হয়েছিল “জসর রাজ্য” । আবার অনেকের মতে ফরাসী শব্দ যশর থেকে যশোর নামের উৎপত্তি বলে অনেকের ধারণা । ফরাসী শব্দ যশর অর্থ ব্রীজ বা সাঁকো । যশোরে আসার জন্য অসংখ্য খাল, নদী-নালা পার হতে হতো। এসব খাল, নদী-নালার উপরে ছিল অসংখ্য সাঁকো। আর এজন্যই নাম করণ করা হয় “যশর” থেকে “যশোর” হয় ।
যশোর বিখ্যাত কেন?
যশোর জেলা খই, খেজুর গুড় ও জামতলার মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া যশোর জেলাটিকে বাংলাদেশের ফুলের রাজধানীও বলা হয়ে থাকে ।
যশোরের বিখ্যাত নদীটির নাম কি?
যশোরের বিখ্যাত নদীটির নাম কপোতাক্ষ । এছাড়াও যশোরের উল্লেখযোগ্য আরো বেশকিছু নদী রয়েছে যা হলো ভৈরব, চিত্রা, মুক্তেশ্বরী ও হরিহর নদী ইত্যাদি।
যশোরের জেলার বিখ্যাত স্থানের নাম
👉যশোর বিমান বন্দর
ব্রিটিশ আমলে ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ সরকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে যশোরে বিমান ঘাঁটি নির্মাণ কাজ শুরু করে । মাত্র ছয় মাসের মধ্যে ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর উপযোগী একটি বিমান বন্দর চালু করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার । ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত এই বিমান বন্দর চালু ছিল । এরপর ভারত ভাগ হওয়ার পর ১৯৫০ সালে যশোরে পাকিস্তান সেনা বাহিনী ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করে । তৎকালী পাকিস্তান সরকার ১৯৫৬ সালে যশোরে পুনাঙ্গ বিমান বন্দর চালুর উদ্যোগ নেয় । তবে যশোরে পূর্নাঙ্গ বিমান বন্দর সচল হয় ১৯৬০ সালে । তখন পিআইএ চট্টগ্রাম, যশোর এবং ঈরশ্বদী থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে ।
👉বেনাপোল বন্দর
যশোরের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি এবং দেশের প্রধান এবং সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থল বন্দর যা শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী বেনাপোল পৌর এলাকায় অবস্থিত । ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের সিংহভাগ এই স্থল বন্দরের মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে । যশোরের ওপারে আছে পেট্রাপোল । বাংলাদেশ সরকারের আমদানী শুল্ক আহরণে বেনাপোল স্থল বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । বেনাপোল বন্দর যশোরের এই এলাকার মানুষদের জীবিকার অন্যতম সূত্র হলো বন্দরের কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এজেন্টের কাজ ।
👉নওয়াপাড়া
যশোরের ব্যবসা এবং বাণিজ্যর প্রাণ কেন্দ্র বলা যায় নওয়াপাড়াকে । এখানকার আশেপাশের উদ্যোক্তাদের কারণে এখানে বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে । এছাড়া নৌপথে আমদানি রপ্তানি হয়ে থাকে । যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে ।
👉গদখালি
বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী হয় যশোরকে । বাংলাদেশের চাহিদা মুলক প্রায় অধিকাংশ ফুল মূলত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালিতে চাষ হয় । যশোরের গদখালিতে উৎপাদিত ফুল সারা বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয় ।
যশোর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
স্বাধীনতা যুদ্ধেও যশোরের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যশোরই হল প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা । ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠর মধ্যে ২-জনই বৃহত্তর যশোর জেলার কৃতি সন্তান । ১ম জন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ, ২য় জন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সেপাহী হামিদুর রহমান । এই ইতিহাস যশোরবাসীদের পরম অহংকারের ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চুড়ান্তভাবে শেষ হবার কয়েকদিন আগেই স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণপন লড়াইয়ে দেশের সর্বপ্রথম শত্রু মুক্ত হয় আমাদের এই যশোর জেলা । সেই গৌরবমন্ডিত তারিখটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বর ।
যশোরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম শহীদ হন চারুবালা, জননেতা শহীদ মশিউর রহমান, এ্যাডভোকেট শ্রী সুনীর কুমার রায়, ব্যবসায়ী নারায়ন চন্দ্র সাহা, সমাজসেবী সুধীর কুমার ঘোষসহ অনেকে ।
যশোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত
কর্মবীর মুন্সী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ
রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার
জ্যোতিস্ক বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ
সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শিশির কুমার ঘোষ
এ্যাডভোকেট শহীদ মশিউর রহমান
যতীন্দ্রনাথ মূখোপাধ্যয় (বাঘা যতীন)
কে পি বসু (কালিপদ বসু)
শিক্ষাবিদ আব্দুর রউফ
বেগম আয়েশা সরদার (নারী আন্দোলনের নেত্রী)
সংগ্রামী মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন
প্রফেসর শরীফ হোসেন
ওয়াহেদ আলী আনসারী
বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ রওশন আলী (এ্যাডভোকেট)
আলোকচিত্রকর মোঃ সফি
মোশাররফ হোসেন
কর্মবীর মুন্সী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ
রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার
জ্যোতিস্ক বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ
সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শিশির কুমার ঘোষ
এ্যাডভোকেট শহীদ মশিউর রহমান
যতীন্দ্রনাথ মূখোপাধ্যয় (বাঘা যতীন)
কে পি বসু (কালিপদ বসু)
শিক্ষাবিদ আব্দুর রউফ
বেগম আয়েশা সরদার (নারী আন্দোলনের নেত্রী)
সংগ্রামী মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন
প্রফেসর শরীফ হোসেন
ওয়াহেদ আলী আনসারী
বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ রওশন আলী (এ্যাডভোকেট)
আলোকচিত্রকর মোঃ সফি
মোশাররফ হোসেন