রমজান মাস ছাড়া রোজা রাখার নিয়ত | Roja Rakhar Niyat
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব রোজা রাখার নিয়ত বাংলা এবং আরবিতে ।
আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনার অবশ্যই কাজে আসবে ইনশাআল্লাহ ।
এই পোস্টটি দেখতে পারেন - ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ ২০২৪
রোজা: ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ
রোজা ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়। রমজান মাসের প্রতিদিন সুবহে সাদেক (ভোরের আলো ফুটতে শুরু করলে) থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার খাওয়া-দাওয়া, পানাহার এবং যৌনতা থেকে বিরত থাকাকেই রোজা বলা হয়।
রোজা রাখার নিয়ত
রোজা রাখার নিয়ত কিভাবে করবেন তা নিচে তুলে ধরা হলো ।
রোজা রাখার নিয়ত বাংলা: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজান মাসের ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করছি, যা আপনার সন্তুষ্টির জন্য ফরজ করা হয়েছে। অতএব, আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।
রোজা রাখার নিয়ত আরবি : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাক্বব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আনতাস সামিউল আলিম।
রমজান মাস ছাড়া রোজা রাখার নিয়ত
রমজান মাস ছাড়া রোজা রাখার সহজ নিয়ম হচ্ছে "আমি আগামীকাল কাজা/নফল/মান্নতের রোজা রাখার নিয়ত করলাম।"
রমজান মাস ছাড়া রোজা রাখার নিয়ত আরবিতে - نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم ।
রমজান মাস ছাড়া রোজা রাখার নিয়ত বাংলায় উচ্চারণ - নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
রোজার ফজিলত
আসুন আমরা রোজার ফজিলত সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই ।
আল্লাহর রহমত লাভের মাধ্যম: রোজা আল্লাহর রহমত লাভের একটি অন্যতম মাধ্যম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "রমজান মাস এলে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদেরকে শেকল দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়।" (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
পাপের ক্ষমা লাভের মাধ্যম: রোজা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল পাপের ক্ষমা লাভের মাধ্যম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে রমজান মাসের রোজা রাখে, তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল গুনা ক্ষমা করে দেওয়া হয়।" (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাধ্যম: রোজা জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাধ্যম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "রোজা ও কুরআন একজন বান্দার জন্য সুপারিশকারী হবে। রোজা বলবে, 'হে আল্লাহ! আমি তাকে দিনের বেলায় খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত রেখেছি।
সুতরাং তুমি তাকে জাহান্নার আগুন থেকে বিরত রাখ।' আর কুরআন বলবে, 'হে আল্লাহ! আমি তাকে রাতের বেলায় ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। সুতরাং তুমি তাকে জাহান্নার আগুন থেকে বিরত রাখ।'" (সুনান আত-তিরমিযী)
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য: রোজা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্যও অত্যন্ত উপকারী। রোজা রাখলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
শেষ কথা - আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি রোজা রাখার নিয়ত বাংলা এবং আরবীতে ।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসবে । সামনে রমজান মাস রমজানের সব কয়টি রোজা রাখার চেষ্টা করবেন ।